অনলাইন ডেক্স: বিএনপি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনের বিরোধিতা করছে। দলটির নেতারা বলছেন, এক এগারোর সময়ের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করতে নতুন দল গঠনের যে চেষ্টা হয়েছিল, তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল। বর্তমান সরকারও যদি একই পথে হাঁটে, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আগামী নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি সরকারকে চাপে রাখতে চায়, তবে দ্বন্দ্বে জড়াতে আগ্রহী নয়। দলটির দাবি, দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে, যা সরকারের ওপর দায়িত্ব বর্তায়। ২০২৬ সালের নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না, বরং ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে দলটি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন
বাংলাদেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের খবর চাউর হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির সমন্বয়ে দলটি গঠিত হতে পারে। তবে দলটির নাম, নেতৃত্ব বা গঠনতন্ত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অনেকেই এই নতুন দলে সম্পৃক্ত হতে পারেন। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো প্রতিনিধিও দলটিতে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গণতন্ত্রের পথে যেকোনো দল গঠিত হতে পারে, তবে তা যেন রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় না হয়।” বিএনপি চায় জনগণের অংশগ্রহণে স্বতঃস্ফূর্ত রাজনৈতিক দল গঠিত হোক, কিন্তু সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে দলটি।
নির্বাচন ও রাজনৈতিক জটিলতা
বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন যত দেরি হবে, ততই সংকট বাড়বে। ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি বলছে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।” বিএনপি ফেব্রুয়ারির মধ্যে বড় পরিসরে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।