অনলাইন ডেক্স: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০৩ জন। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৪৯২ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ অন্তত ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ জন।
ধ্বংসস্তূপের স্তর বাড়ছে
ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এই ধ্বংসস্তূপ মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো সরাতে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি ধ্বংস, এক-তৃতীয়াংশ আংশিক এবং এক-দশমাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে।
‘গাজা বদলে গেছে’
গার্ডিয়ানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের গাজাভিত্তিক একজন কর্মকর্তা বলেন, “দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এমন কোনো ভবন নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। ভৌগোলিক চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। আগে যেখানে কোনো পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে ধ্বংসস্তূপের পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে।“
তিনি আরও বলেন, “দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই গাজার মানচিত্র বদলে দিয়েছে। এই ভয়াবহতা পাগলামির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।“
গাজায় চলমান হামলা পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের পুনর্গঠন দীর্ঘ সময়ের দাবি রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।