পার্থ প্রতিম ভদ্র : ফরিদপুরের শহীদের নাম সম্বলিত স্মৃতি ফলকের বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিসব পালন করলো প্রথম আলো ফরিদপুর বন্ধুসভা। শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লা এলাকায় অবস্থিত এ বেদীতে সহস্রাধিক মোমবাতী জ্বালানো হয়। বিকেল তিনটা থেকেই বন্ধুসভার সদস্যরা শহীদ বেদীস্থলে সমবেত হয়। এরপর একে একে আলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকা, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক ১৯৭১, বুদ্ধিজীবী দিবসের ১৪ শব্দগুলি আকারে মোমবাতি স্থাপন করে আলোক প্রজ্জালন করা হয়। এছাড়া বেদীর উপরে এবং চারপাশ মোমবাতী দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বন্ধুসভার সদস্যরা মোমবাতী জ্বালাতে শুরু করেন। মোমবাতী জ্বালানোর পর বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত স্মরণীয় বর্ণ সম্বলিত অক্ষরগুলি এক অনন্য দৃশ্যের অবতারনা করে। শহীদ বেদীর পাশে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। ওই সড়কে চলাচলকারী ব্যক্তিরা মোমবাতী প্রজ্জ্বলন দেখতে শহীদ বেদীর প্রাঙ্গনে ভিড় জমায়।
বন্ধুসভার সভাপতি মানিক কুন্ডু বলেন, প্রতিবছর ফরিদপুর বন্ধুসভা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদের নাম সম্বলিত বেদীতে মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে আসছে। এ জাতিকে মেধা শূণ্য করার জন্য পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র কয়েকদিন আগে তাদের দোষর আলবদর আলশামস বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। সে ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানাতে এবং বাংলাদেশ যেন পথ না হারায় সে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আমরা স্মরণ করে আসছি।
প্রথম আলো ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধু রফিকুল ইসলাম রাফিজ বলেন, ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা সদস্যদের চাঁদা দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ মোমবাতী জ্বালানোর কাজ করেছেন।
তিনি আরও জানান, এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে বন্ধুসভার সভাপতি মানিক কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক জহির হোসেন,বন্ধু মাফিকুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা, আহতাশাম শাওন, রফিকুল ইসলাম, বাধন পাল, সজিব দত্ত, সুব্রত পাল, শুভ কুমার বিশ্বাস, মিঠুন দাস, সজীব পাল, পরশ সাহা, মো. আলীমুজ্জামান ও পার্থ প্রতীম ভদ্রসহ বন্ধুসভার সদস্য ও শুভান্যুধায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।