বিপ্লব হোসেন : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলছে ব্যপক প্রস্তুতি। ঐ দিন বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও দেশের লাখো মানুষ। ঘন কুয়াশায় কনকনে ঠান্ডায় (বৃহস্পতিবার) সকালে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের ভেতরে অনেকেই পানি দিয়ে পুরো সৌধের ভেতরটা ধোয়া মুছার কাজ ও ফুলসহ গাছের পরিচর্চা করছেন। কেউ রঙের কাজ, কেউ করছেন ইটের কাজ, আবার কেউ ঝাড়ু দেওয়া, কেউবা আবার ইলেকট্রিকের কাজে ব্যস্ত সহ রংতুলি ও লেখার কাজও করতে দেখা যায়।
এসব কাজে কর্মরতরা জানান, ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে প্রায় এক/দেড় মাস আগে থেকেই এখানে সৌন্দর্য্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে। তারা আরো জানান, মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ফুলের গাছসহ নানা প্রজাতির গাছ রোপণ করা হচ্ছে। এখানে কাজ করতে তাদের অন্যরকম এক অনূভুতি অনুভব করেন বলেও জানান তারা। কারণ, বিজয় দিবসের দিনে এখানে লাখ লাখ মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন। আর সেখানেই তারা কাজ করছেন।
জিএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯৮১ সাল থেকে তিনি প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ-সহ সমস্ত দিবসগুলোতে স্মৃতিসৌধে নিয়মিত হাতের লেখার কাজ করে থাকেন। এবার তিনি ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকেই লেখালেখির কাজ শুরু করেছেন। মনের ভালো লাগা থেকে তিনি এখানে লেখালেখির কাজ করছেন দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামন্ডলী ও বিদেশী কূটনীতিকসহ লাখ লাখ জনতা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেই লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সকে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করা, ফুল দিয়ে সাজানো, রঙ তুলির কাজ, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করাৃদৈনিক হচ্ছে বলে জানান তিনি।