প্রবাসীর মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথের জায়গায় পাকা দোকান ঘর নির্মাণ…

তানভীর আহাম্মেদ, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর কোতোয়ালি থানাধীন আউলিয়াপুর মৌজায় রূপম মোড় এলাকায় তিন ভাই নামে একটি হাসকিং মিল ও চাতাল ছিল। এই তিন ভাই হাসকিং মিল ও চাতাল এর ভোগ দখলিয় মালিক মো:আব্দুল কাদের,মো:মমতাজ আলী,মো:আব্দুল বারী।এই তিন ভাইয়ের ভিতর বড় ভাই মো:আব্দুল কাদের বলেন হাসকিং মিলের ব্যবসায় আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

আমরা তিন ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই হাসকিং মিল ও চাতাল ভেঙে সড়ক ও জনপথের জায়গা ছেড়ে মার্কেট নির্মাণ করবো।
মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মিল চাতালের সামনে সড়ক ও জনপথের জায়গায় গড়ে উঠা অস্থায়ী ৯টি দোকান মালিকদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলি।এদের ভিতর দুজন দোকানদার সড়ক ও জনপদের জায়গা হওয়ায় নিজের স্ব-ইচ্ছায় পরিবারের কথা ভেবে জায়গা ছেড়ে দেয় এবং নির্মানকৃত মালিকানাধীন মার্কেটে দোকান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আর বাকি সাতজন সাদেকুল নামে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ইন্দনে সড়ক ও জনপথের জায়গা ছেড়ে দিতে অসকৃতি জানায়।কারণ সাদেকুল নামে এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা নিজেই সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে একটি ক্লাব ঘর।অসকৃতি জানানো দোকানদাররা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি প্রদান করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানায় সড়ক ও জনপথের জায়গায় এভাবে পাকা দোকান নির্মাণ করায় ভোগান্তিতে পড়ছে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন রকম যানবাহন।যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।শুধু তাই নয় সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা উল্লেখিত দোকান ঘর নির্মাণ করায় বর্ষার পানি পাকা রাস্তার উপর গিয়ে জমা হয়।এতে করে পাকা রাস্তা নষ্ট হতে চলেছে যা রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের বলেন আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে কিছু অসহায় লোক এসে আমাদের তিন ভাইয়ের কাছে অনুরোধ করে বলে আপনাদের মিল চাতাল এর সামনে মহাসড়ক সংলগ্ন ফাঁকা জায়গাটিতে আমরা অস্থায়ী ভিত্তিতে বাস ও টিন দিয়ে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করতে চাই।তখন আমরা তিন ভাই মিলে তাদের বলি তোমরা যেখানে দোকান নির্মাণ করতে চাচ্ছ ওটা কিন্তু সড়ক ও জনপথের জায়গা যেকোনো মুহূর্তে তোমাদের কিন্তু উচ্ছেদ করে দিবে।এই কথা শোনার পরে তারা প্রস্তাব দেয় যখন আমাদের চলে যেতে বলবে আমরা স ইচ্ছায় চলে যাব।তাদের কাছ থেকে এ কথা শোনার পর আমরা তিন ভাই মিলে তাদের বলি তোমরা অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান নির্মাণ করতে চাচ্ছ করো কিন্তু যেহেতু এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা এর দায় দায়িত্ব আমরা নিব না।আর আমরা যদি ভবিষ্যতে মার্কেট নির্মাণ করতে চাই তখন তোমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এ প্রস্তাবে তারা রাজি হয়।এভাবে সড়ক ও জনপথের ফাঁকা জায়গাটিতে নয়টি দোকান গড়ে ওঠে। আমার দুই ছেলে বড় ছেলে দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে বসবাস করে আসতেছে।মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু করি এবং নির্মাণকৃত মার্কেটটির কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রবাসে থাকা আমার বড় ছেলে কিছুদিন আগে দেশে আসে। দেশে আসার পর তাকে এই বিষয়গুলোর অবগত করা হয়। সে বিষয়গুলো শুনে আইনের আশ্রয় নিতে বলে। আমি প্রবাসে থাকা আমার বড় ছেলের কথা শুনে দিনাজপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সড়ক ও জনপদ বিভাগ,সেনাবাহিনী ও কোতোয়ালি থানায় একটি করে অভিযোগ প্রদান করি।
অভিযোগ প্রদান করার পরে সড়ক ও জনপথের সার্ভেয়ার অমিত মুকুটমনি নির্বাহী প্রকৌশলের নির্দেশে সরজমিনে গিয়ে জায়গাটি মাপ যোগ করে আমাদেরকে একটি হাত নকশা প্রদান করে। যেই হাত নকশায় রীতিমতো উল্লেখ করা যে,আমাদের নির্মিত মার্কেটের সামনে যারা পাকা দোকান নির্মাণ করেছে সেটা সড়ক ও জনপথের জায়গা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।