আগামীকাল শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ

অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামীকাল, ১২ ডিসেম্বর। ১৫ দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ শুমারিতে সারা দেশে তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবেন ৯৫,০০০ গণনাকারী।

প্রস্তুতি সম্পন্ন
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি ১০ বছর পর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নে এ শুমারি পরিচালনা করে। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শুমারির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

ব্রিফিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক এস এম শাকিল আখতার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শুমারির উদ্ভাবনী দিক
এবার প্রথমবারের মতো শুমারির তথ্য সংগ্রহে ট্যাবলেটের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। প্রাথমিক তালিকায় ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শুমারিতে ৭০টি প্রশ্ন থাকবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বৈশ্বিক শ্রমবাজার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে। বিশেষত, বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা, কাজের ধরন এবং নারী-পুরুষের অনুপাতের বিষয়গুলো এই শুমারিতে উঠে আসবে।

তথ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা
মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সরাসরি বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত হবে। তথ্যের গোপনীয়তা পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী শতভাগ নিশ্চিত করা হবে।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
তথ্য সংগ্রহের মান নিশ্চিত করতে তিন ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা সমন্বয়কারী ও জোনাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং তৃতীয় ধাপে গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শুমারির সম্ভাব্য প্রভাব
বিবিএসের ডিপুটি প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।” এ তথ্য দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এবারের শুমারি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং দক্ষ প্রস্তুতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।