মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ কেন্দুয়ায় ভাতিজার আঘাতে চাচা খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। (৬ ডিসেম্বর) শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়ন সিংহেরগাঁও গ্রামে কান্দাপাড়ায় ভাতিজার আঘাতে চাচা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যৌথ মালিকানা ডোবা পুকুরে মাছ ধরতে যায় লিটন, আবুল কালামের স্ত্রী জোসনা ভাতিজা লিটনকে নিষেধ করার ফলে জোসনার সাথে কথা কাটাকাটি হয়,দুজনের কথা বকাবকি শুনে আবুল কালামকে ভাতিজা বুকে কিল ঘুষি মারে, এই বিষয়টি কালামের ছেলে মারুফ দেখতে পেয়ে তার চাচাতো ভাই লিটনকে মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করলে লিটন তার ছোট বাচ্ছাটির উপরে পড়ে যায়, লিটন বাচ্চাটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করছিল,আবার মারুফ লিটনকে আঘাত করতে চাইলে লাঠিতে লিটন ধরে ফেলে। এক পর্যায়ে দুজনের দস্তাদস্তি শুরু হলে আবুল কালাম ফিরাইতে গেলে ভাতিজার ধাক্কায় জাম্বুরা গাছে মাথায় চাপ খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন কালামের মাথায় পানি ও চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করে। এই ফাঁকে লিটন তার স্ত্রী সন্তান ও মাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার শেষে ভর্তি না হয়ে মাথায় ব্যান্ডিজ নিয়ে তার চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় আসে। ডিউটি অফিসার রুমে থাকা অবস্থায় তার ভাতিজী লিজা ফোন দিয়ে বলে আবুল কালাম মারা গেছে। তখন থানার ডিউটি অফিসার ও সাংবাদিক অভিযোগটি মৌখিকভাবে জানতে ছিল। পরে এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ লিটন ও তার স্ত্রী, বাচ্চা ও তার মাকে থানা হেফাজতে রাখে। ঘটনার পরপরই কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও এসআই কামাল হোসেন ঘটনা পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আবুল কালামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান,নিহতের লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে এবং লিটন সহ তার পরিবারকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ লিটনের ফাঁসির দাবী জানায়।