অনলাইন ডেক্স: নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে গাজায় বন্দি রাখা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, হামাসকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মার্কিন নির্বাচনের পর এটিই ছিল চলমান গাজা সংকট নিয়ে ট্রাম্পের সবচেয়ে কঠোর বক্তব্য। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজা ইস্যুতে তার অবস্থান ইসরায়েলের প্রতি আরও সুসংহত হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো মাঝেমধ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করার পথ তিনি অনুসরণ করবেন না। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সকলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
বন্দিদের মুক্তির দাবি: সোমবার হামাসের প্রতি এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তার দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগেই বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের ভয়ানক মূল্য দিতে হবে। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এর আগে যদি এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতি না ঘটে, তাহলে এর জবাব হবে এমন কিছু, যা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। এখনই পদক্ষেপ নাও!”
গাজা সংকট এবং ট্রাম্পের অবস্থান: গত ১৪ মাস ধরে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হামাসের বিরুদ্ধে বহু মানুষকে পণবন্দি করার অভিযোগ রয়েছে। এই ইস্যুতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে সমালোচকরা মনে করেন।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি তার ভবিষ্যৎ প্রশাসনের কড়া নীতির ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার আগেই বিশ্বকে বার্তা দিতে চাইছেন যে, তিনি শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা: ট্রাম্প তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথসোশাল’-এ লিখেছেন, “যারা পণবন্দি করে রেখেছে, তাদের এখনই মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা আমেরিকার ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। এই মানবতাবিরোধী অপরাধ আর চলতে দেওয়া হবে না।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্য গাজা সংকট সমাধানে নতুন দিক উন্মোচন করবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার কড়া অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।