অনলাইন ডেক্স: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এ নির্বাচন সহজ হবে না। মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়েছে। ভুল করলে নেতাকর্মীদের সঠিক পথে আনা নেতাদের দায়িত্ব।”
সোমবার (২ ডিসেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা’ বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জনগণই বিএনপির শক্তি
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সব শক্তির উৎস জনগণ। আমরা তখনই ক্ষমতায় যেতে পারব, যখন জনগণের পূর্ণ সমর্থন পাব। আমাদের কাজ এমনভাবে করতে হবে যাতে মানুষ বিএনপির পাশে থাকে। দলকে রক্ষা করা এবং সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সবার। জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং তাদের আস্থা ধরে রাখুন।”
৩১ দফা বাস্তবায়নে জনগণের সমর্থন জরুরি
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা কোনো রাজনৈতিক প্রচারণা নয়, এটি দেশের কল্যাণে একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা। “গত কয়েক মাসে বিভিন্ন মহল সংস্কারের কথা বলছে, যা বিএনপি ২ বছর আগেই ঘোষণা করেছে। ৩১ দফার প্রতিটি পয়েন্ট জনগণের কাছে পৌঁছানো জরুরি। এই দফাগুলো শুধু বিএনপির নয়; এটি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের জন্য প্রাসঙ্গিক।”
পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের পাশে থাকা
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। কীভাবে জনগণকে পাশে রাখবেন, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন। এই পরিকল্পনাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ফ্যামিলি ও ফার্মার্স কার্ড
নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান জানান, ক্ষমতায় গেলে প্রান্তিক মানুষ ও কৃষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “ফ্যামিলি কার্ড পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে, যা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড থাকবে, যা সার, বীজ ও আর্থিক সহযোগিতা সহজতর করবে।”
তিনি নারীর মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, “খালেদা জিয়া নারীদের জন্য ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। আমরাও নারীর আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করব।”
সভায় বিশিষ্টদের উপস্থিতি
খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
তারেকের বার্তা: কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান
তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বিগত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনারা সংগ্রাম করেছেন। এ যাত্রা তুলনামূলক সহজ হবে যদি আমরা জনগণের আস্থা ধরে রাখতে পারি। একটু কষ্ট করে হলেও বিএনপির লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব।”