বিনোদন ডেস্ক : অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঘর বাঁধার পর বহুবার সংসার ভাঙার গুঞ্জনে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রায় এক বছর ধরে এ দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন নতুন করে মায়া নগরীতে উড়ছে। সম্প্রতি তা আরো জোরালো হয়েছে। আর সেই বিচ্ছেদের আগুনে ঘি হলো একটি ভিডিও ক্লিপ।
মূল বিষয় হলো— দুবাই মহিলা সংস্থার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, নীল রঙের গাউন পরে মঞ্চে উঠছেন ঐশ্বরিয়া। ব্যাকগ্রাইন্ডে নীল পর্দা; তাতে ভেসে উঠে ঐশ্বরিয়ার ছবি। তার নিচে ইংরেজি হরফে লেখা— ‘ঐশ্বরিয়া রাই, আন্তর্জাতিক তারকা’।
সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু ঐশ্বরিয়ার নাম নিয়েই যত জটিলতা। কারণ অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের পর অফিসিয়ালি নামের পাশে যুক্ত করেন ‘বচ্চন’ পদবি। অর্থাৎ বিয়ের পর থেকে ‘ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন’ লেখে আসছেন তিনি। হঠাৎ নামের পাশে ‘বচ্চন’ পদবি না থাকায় অভিষেকের সঙ্গে তার বিচ্ছেদের গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। নেটিজেনদের দাবি— “অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কারণে নিজের নাম থেকে স্বামীর পদবি মুছে ফেলেছেন ঐশ্বরিয়া।”
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘দুবাই মহিলা সংস্থা’। তাতে যোগ দেন ঐশ্বরিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সেই মঞ্চেরই।
অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এখন পর্যন্ত কাটাছেঁড়া কম হয়নি। কিন্তু নীরব ভূমিকায় রয়েছেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। এ ঘটনার পরও মুখে কুলুপ এঁটে আছেন ঐশ্বরিয়া। তবে কেউ কেউ দাবি করেছেন— “আয়োজক কর্তৃপক্ষ ঐশ্বরিয়ার নাম লিখতে ভুল করেছেন।” কিন্তু এ নিয়েও সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কয়েক দিন আগে ঐশ্বরিয়ার শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন নিজের ব্লগে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন। তাতে ‘শোলে’ তারকা লেখেন, “এক জীবনে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে অপরিসীম বিশ্বাস, সাহস ও সততা প্রয়োজন। পরিবার নিয়ে আমি খুবই কম কথা বলি। কারণ এটি আমার রাজ্য এবং এর গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই। গুজব আর গুজব…। যাচাইবাছাই ছাড়া এসব গুজব মিথ্যা।”
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর এই দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা আরাধ্য।