নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে কায়েম উদ্দিন সহ ৪ ভাই ২ বোনকে….

এ.বি.এম.হাবিব : নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়নের কৌবত্তপাড়ায় পৈতৃক ও ওয়ারিশ সুত্রে খতিয়ান ভুক্ত প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাশেম ফকিরের ৩ছেলে ১মেয়ে, কছিমমুদ্দিন ফকির,রিয়াজ ফকির,ময়েজ ফকির, গুলশান বিবি। কছিমুদ্দিন ফকির ১৯২২ সালের পরে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভীমপুর বাজারের গাঙ্গের ধারে এসে বসবাস শুরু করে। তার নিজের খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩ একর ২৭ ডে: ২৪, যার খতিয়ান নং-৩৯,৪০,৪১,৪৩ মৌজা-কৌবত্ত পাড়া, জেএল নং-১১৮। এখানে আসার পর তার ৪ছেলে ২মেয়ের জন্ম হয়। আলাউদ্দিন ফকির, কায়েম ফকির, মাজেদ আলী ফকির, আব্দুল জলিল ফকির,হাছি বিবি, সালেহা বিবি। কছিম উদ্দীন মারা গেলে তার সম্পর্ণ সম্পত্তি বে-আইনি ভাবে তার ২ভাই রিয়াজ ফকির ও ময়েজ ফকির দখল করে।

এরপর এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে কছিমুদ্দিন ফকিরের ছেলে-মেয়েরা জমির দাবী করলে, জবর-দখলকারীরা জমি-জমা ফেরত দিতে চেয়ে শুধু মাত্র কায়েম ফকিরকে ২৫ শতক জমি দেয়। গায়ের জোরে বাঁকি সম্পত্তি থেকে সবাইকে আবারও বঞ্চিত করে। এই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ময়েজ ফকির ও রিয়াজ ফকির এর কাছে বারবার কছিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে মেয়েরা জমির দাবি-দাওয়া করলে সেখান থেকে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওয়ারিস গনেরা জানান।

পরবর্তীতে কছিম উদ্দিনের ৪ ছেলে, এ সম্পত্তির ওয়ারীস সূত্রে প্রাপ্ত, জবর-দখলকারী ইব্রাহিম ফকির ও ফজলু ফকিরের কাছে দাবি-দাওয়া করলেও তারা তাদেরকেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আবারও তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আলাউদ্দিন ফকির, কায়েম ফকির, মাজেদ আলী ফকির, আব্দুল জলিল ফকিরের ছেলে মেয়েরা উক্ত সম্পত্তি দাবী-দাওয়া করে এবং জাইদুল ফকিরের বাড়ি নির্মানে বাঁধা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ দীর্ঘদিনের এই সমস্যাটি নিয়ে বসলে,সেখানে তারা জমি-জমা ভাগ করে দিতে চায়। কিন্তু দেব দিচ্ছি বলে বহুদিন অতিবাহিত করেও দেয় না। এমতাবস্থায় ওয়ারিশ গনেরা বারবার তাগিদ দিলেও তারা কেহই কর্ণপাত করে না।

এ নিয়ে এলাকায় সংঘর্ষ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। উক্ত সম্পত্তি বর্তমানে জবর-দখলকারীরা হচ্ছে, জাইদুল ফকির, হামিদ ফকির,ফজলু ফকির, মশিউর ফকির, আব্দুর রশিদ ফকির, শাহাদত ফকির, ইদ্রিস আলী ফকির, মন্টু মুন্নার এরা শুধু মাত্র গায়ের জোরে জবর-দখল করে রেখেছে বলে ওয়ারিশ গনেরা জানান।

এ বিষয়ে জবর-দখলকারীদের মধ্য  ফজলু ফকিরের সাথে মোবাইলে কথা হলে সে জানায়, এ সম্পত্তির কোন দলিলাদী না থাকলেও, ওয়ারিশ সুত্রের ভীমপুর মৌজার দলিলাদী তার কাছে আছে। কিন্তু কৈবত্তপাড়ার মৌজার কোন কিছু আছে না-কি জিজ্ঞেস করলে,সে এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র আছে বলে জানায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা গরীব হওয়ায় নওগাঁ লিগ্যাল এইড এর স্বরণাপন্ন হবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com