নিজস্ব প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় মোহাম্মদীয়ামডেল হাসপাতালে সিজারীয়ান অপারেশনের পর চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের (ছেলে) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক ও তার স্ত্রী গাইনী ডাক্তার রোকাইয়া আক্তারসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নজজাতকের বাবা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের সীডষ্টোর বাজার এলাকার মোঃ রাকিবুল হাসানের অন্তসত্তা স্ত্রী রোজিনা আক্তারের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহাসড়ক সংলগ্ন সালাহ উদ্দিন প্লাজায় অবস্থিত মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।ওই হাসপাতালের মালিকের স্ত্রী গাইনি ডাক্তার রোকেয়া আক্তার রোজিনাকে দেখে অনাগত প্রথম সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বলে ওই রাতেই ২৬ হাজার টাকা চুক্তিতে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দেন। গর্ভবতী মা ও সন্তান সুস্থ রাখার জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের চুক্তি করে রাত সাড়ে ৯ টায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সুলতান ফজলে রাব্বী (নাহিদ) রোগীকে অজ্ঞান করেন এবং ডা. রোকাইয়া আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সন্তান প্রসবের পর শিশু ডাক্তার (অজ্ঞাত) নবজাতকের সমস্যার কথা বলে তরিগরি ময়মনসিংহের চুরখাই কমিউনিটি বেস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে ভর্তি করার পর নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওই হাসপাতাল থেকে কিউর হাসপাতাল বিজয় স্মরনী পাঠায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় নবজাতক মারা যায়। এঘটনায় হাসপাতালের মালিক আব্দুর রাজ্জাক তার স্ত্রী গাইনী ডাক্তার রোকইয়া আক্তার ও অজ্ঞানের ডাক্তার সুলতান ফজলে রাব্বীার (নাহিদ) নাম উল্লেখ করে নজজাতকের বাবা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ডা. রোকাইয়া আক্তারের স্বামী ও মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল রাজ্জাক জানান, গত বুধবার তার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর নবজাতকের হার্টে সমস্যা ছিলো এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চুরখাই কমিউনিটি বেস্ট মেডিক্যাল কলেজ প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাচ্চাটি মারা গেছে। ভালুকা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল হোসেন জানান, মোহাম্মদীয়া হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক মারা যাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেননি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভালুকা মডেল থানার ওসি(তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, ওই বিষয়টির ব্যাপারে তাকে কেউ অবগত করেনি।