জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক গৃহবধূ (২২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে এঘটনায় গৃহবধ ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম(২৫) কে আসামি করে নেত্রকোনা কোর্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ গত ১৫ আগস্ট শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবককে আসামি করে নেত্রকোনার কোর্ট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের সঞ্জু মিয়ার ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রভাবশালী যুবক শফিকুল ইসলাম ওই গৃহবধূর স্বামীর প্রতিবেশী সম্পর্কে ভাই হয়। গৃহবধূর স্বামী জীবিকা নির্বাহের কাজে চট্টগ্রামের একটি কোম্পানির চাকরি করেন । এদিকে ওই গৃহবধূ তার একটি ছেলে সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন।
স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ১০ আগস্ট রোজ মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ রান্নার কাজ শেষ করে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পিত উত পেতে থাকা শফিকুল ইসলাম গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাঁকে ধর্ষণ করেন। আমার নারী জীবনের সর্বনাশ না করার জন্য তাকে বারবার অনুরোধ করি এ ঘটনার পর স্বামী ওই গৃহবধূকে তালাক দেয়।
পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দফায় দফায় দরবার সালিশ ও হয় বিষয়টি মীমাংসার জন্য। এক পর্যায়ে গ্রামের সালিশের মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম ওই গৃহবধূকে বিবাহ করতেও রাজি হয়। ওই গৃহবধ বিবাহ বসতে রাজি হননি।
গৃহবধূ এও জানান, আমার এক ছেলে নিয়ে সুন্দর একটি সংসার ছিল এই সুন্দর সংসারটি ভেঙেছে দিয়েছে শফিকুল ইসলাম। আমার সুন্দর সংসারে ফিরে পেতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মদন থানার অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত (ওসির) দায়িত্বে থাকা এসআই ফয়সাল বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে নেত্রকোনার কোর্ট আদালতে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।