অনলাইন ডেস্ক: আমাদের চারপাশের সবাই আমাদের প্রতিবেশী। এরা হতে পারে আমাদের পাশের বাসার লোক, সহপাঠী, সহকর্মী বা সফরসঙ্গী। ইসলামে প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো আচরণ এবং সদাচরণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
“خير الأصحاب عند الله خيرهم لصاحبه، وخير الجيران عند الله خيرهم لجاره”
অর্থাৎ: আল্লাহর কাছে উত্তম বন্ধু সেই ব্যক্তি যিনি তার সঙ্গীদের প্রতি উত্তম, এবং উত্তম প্রতিবেশী সেই ব্যক্তি যিনি তার প্রতিবেশীদের প্রতি উত্তম। (মুসনাদে আহমদ)
অমুসলিম প্রতিবেশীদের প্রতি ইসলামের যে আচরণ নির্দেশনা রয়েছে, তা মুসলমান প্রতিবেশীদের মতোই। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কাউকে আলাদা বা একঘরে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
অমুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সদাচরণ, বিপদে সাহায্য করা, অসুস্থ হলে খোঁজ নেয়া—এসব ইসলামিক শিক্ষা। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“لَا یَنۡهٰىكُمُ اللّٰهُ عَنِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یُقَاتِلُوۡكُمۡ فِی الدِّیۡنِ وَ لَمۡ یُخۡرِجُوۡكُمۡ مِّنۡ دِیَارِكُمۡ اَنۡ تَبَرُّوۡهُمۡ وَ تُقۡسِطُوۡۤا اِلَیۡهِمۡ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ”
অর্থ: যাঁরা তোমাদের ধর্মের কারণে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদয় আচরণ করতে এবং ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেননি। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন। (সুরা মুমতাহিনা: ৮)
নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর জীবনে অমুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করেছেন এবং তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আনাস (রা.) বলেছেন, এক ইহুদি বালক আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেবায় নিয়োজিত ছিল। সে অসুস্থ হলে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি)
আমরাও নবিজির আদর্শ অনুসরণ করে অমুসলিম প্রতিবেশীদের প্রতি কর্তব্য পালন করতে পারি। তাদের বিপদ-আপদে সাহায্য করতে এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। অমুসলিম প্রতিবেশীদের বিপদে সাহায্য না করা, বিশেষ করে যখন আমরা সাহায্য করতে সক্ষম, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে।