কেন্দুয়া পৌরসভায় ময়লার স্তুপ, স্বাস্থ্যঝুকি চরমে

আবু বকর ছিদ্দিক,  কেন্দুয়া (নেত্রকোণা): নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, কেন্দুয়া-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে , পৌরভবন ও দুধ মহালের একবারে সাথের খালি জায়গাটি ময়লার বাগারে পরিনত হয়েছে। তাছাড়াও কাঁচাবাজার, শান্তিবাগ,খাদ্যগুদামের পূর্বপাশসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থান পরিনত হয়েছে ময়লার স্তুপে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না এসব এলাকায়। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পৌরবাসি। পৌরসভার কাঁচাবাজার, খাবার হোটেল, বাসাবাড়ির ময়লা, গুরু-ছাগল ও মুরগির জবাই কৃত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে দেদারসে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়- এসব এলাকায় ময়লার স্তুপ।মানুষ নাকে-মুখে কাপড় চেপে চলাফেরা করছেন এসব স্থান দিয়ে। অসস্থিকর এক পরিবেশ। দুধ বিক্রতে আব্দুল আউয়াল, শফিক মিয়া, লতিফ মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ময়লার স্তুপের পাশে বসে দুধ বিক্রি করি। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। মুদি দোকানদার মো. নয়ন মিয়া বলেন, জীবীকার তাগিদে এখানে আমারও একটি মুদি দোকান আছে, কিন্তু এখানে পৌরসভার ময়লার বাগার থাকায় বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন নাক-মুখ চেপে কোনরকম যাতায়াত করে। কাঁচাবাজারের বেশ কয়েকজন দোকানদার, বাজারিদের অনেকেরই বলেন – ময়লার কারনে বাজারটি এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিনত হয়েছে।

সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করি। আমাদের বিদ্যালয়ের গেটের সামনেই ময়লার বাগার। দম বন্ধ হয়ে আসে। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় নাক-মুখ চেপে ধরে কোনরকম ময়লার সীমানাটা অতিক্রম করি। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালী বলেন, কেন্দুয়া পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান কেন্দুয়া-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথেই অত্র বিদ্যালয়টি, একটি দুধ মহাল, পৌরভবন সহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি। এখানে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কারণে চরম বিপাকে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পথচারী সহ সাধারণ মানুষ। এই ময়লার বাগারের পাশে একমিনিট অবস্থান করলেই যেন দম বন্ধ হয়ে আসে।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক  ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ময়লা আবর্জনা ফেলার শোধনাগার না থাকায় যে যেভাবে পারে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। গত কিছুদিন আগে পরিষ্কার করানো হয়েছে আবারও দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্কার করানো হবে যাতে কোন দুর্গন্ধ না ছড়ায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমি কেন্দুয়ায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন মিটিংয়ে ময়লার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করে স্থায়ীভাবে পৌরসভার অধিনে জায়গা কিনে ময়লা শোধনাগারের জন্য উন্মুক্ত জায়গা কিনতে আহ্বান করেছি কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ময়লা আবর্জনা ফেলার নিদিষ্ট জায়গা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগীতা করে পৌরসভাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com