শাহজাদপুর যমুনার দুর্গম চর অঞ্চলে খোকন চক্রের মাদক, চুরি, ডাকাতি ও অপরাধ সাম্রাজ্যের রাজত্ব

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন: সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ১০নং কৈজুরী ইউনিয়নের ঠুটিয়া (চর ঠুটিয়া) গ্রামের মৃত্যু রজব আলী সরদারের ছেলে খোকন সরদার।

একসময়ের মোবাইল চোর খোকন এখন দুর্গম যমুনার চর অঞ্চলে মাদক ব্যবসা,চুরি, ছিনতাই,ডাকাতি ও অপরাধ সাম্রাজ্যের রাজত্ব কায়েম করেন। এ যেনো দেখার কেউ নেই!!

সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে,খোকনের অপরাধ সম্রাজ্যের মুখোশ। জানা যায়, উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পাঁচিল বাজার এলাকায় এক যুগ আগে পুরাতন মোবাইলের ফোন বিক্রির হাট বসত সেই কালে খোকন ঢাকা,টাংগাইল,রাজশাহী, জামালপুর,বগুড়া,রংপুর,পাবনা,
নাটোর,মানিকগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জায়গা মোবাইল ফোন চুরি করে এনে পাঁচিলের বাজারে বিক্রি করত। সেই সময় চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য বিখ্যাত পাঁচিল এলাকা এখনো অনেকের কাছে গল্প শুনা যায়, অল্প টাকায় মোবাইল ফোন কেনার সেই পাঁচিল বাজারের কথা।

জানা যায়,সেই সময়ে খোকনের বড় ভাই বুদ্ধু সরদার ইয়াবা টেবলেটের ব্যবসা করত সেই সুবাদে খোকন ও এক পর্যায়ে মোবাইল চুরি করা বাদ দিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হয়।

এরপর,খোকনকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি,কারণ মাদক ব্যবসার ইনকাম দিয়ে অনেক ভালোই জীবন যাপন করে যাচ্ছিলো। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যায়। তবে,জেল থেকে জামিনে বেড় হয়েই খোকন বেপরোয়া হয়ে যায়।

এরপর খোকন নিজ এলাকাসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়  মাদক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় শুরু করে দেয় বড় আকারে ইয়াবা টেবলেট,গাঁজার ব্যবসা। ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সুবাদে বেশ কিছু চোর,ডাকাত ও অপরাধ জগতের অনেকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায়। এভাবেই খোকনের অপরাধ জগতে রাজত্ব শুরু করে দেয়।

বর্তমান যমুনার দুর্গম চর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে খোকনের অপরাধ জগতের চক্রের সদস্য রয়েছে, খোকনের চক্র প্রতিনিয়ত যমুনার দুর্গম চর অঞ্চল এলাকায় চুরি,ডাকাতি ও মাদক ব্যবসায় সক্রিয়।

এখানেই শেষ নয়, খোকনের নিয়ন্ত্রণে ডাকাতের একটি দল রয়েছে।
খোকন ও তার ডাকাত দলের সদস্য নিয়ে রাতেরবেলায় যমুনার চর অঞ্চল এলাকায় কৃষক ও খামারিদের বাড়ীতে ডাকাতি করে গরু,স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকাসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় খোকনের ডাকাত চক্র।

এদিকে,খোকনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে চোর চক্র,চোর চক্রের সদস্যদের দিয়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরি করানো হয়। জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন চর এলাকা ও সোনাতনী ইউনিয়ন ও চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়ন এবং স্থাল ইউনিয়নে খোকনের অপরাধের রাজত্ব এসব এলাকায় ইয়াবা ও গাঁজা পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করে।

জানা যায়,এইসব এলাকায় খোকন চক্রের সদস্য আছে, খোকন তাদের দিয়েই মাদক খুচরা বিক্রি করে। এছাড়াও এই চক্রের চুরি করা সকল মালামাল খোকনের নেতৃত্বেই বিক্রি করা হয়। চোরাই মালমাল বিক্রি করার জন্য খোকনের নিজস্ব লোক ও রয়েছে কৈজুরী ,পাঁচিল,এনায়েতপুর ও চৌহালীতে।

জানা যায়,যদি খোকন চক্রের সদস্যরা চুরি করা মালামাল খোকনকে না দিয়ে অন্য কোথাও বিক্রি করে,তাহলে পূর্বের চুরি করার অপরাধে অভিযুক্ত করে,
থানা পুলিশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও এলাকার প্রভাবশালী কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দিয়ে বিচার নামক একটি চুরির নাটক সাজানো হয় এবং মিথ্যা অভিযোগে তাদের অভিযুক্ত করে  তাদের অবিভাবকদের থেকে মোটা অংকের টাকা অর্থাৎ  জরিমানা আদায় করে। এরপরে সেই জরিমানা আদায় করা টাকা স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু অসাধু ব্যক্তিসহ খোকনের পকেটে যায়।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, গত ২০২৪ সালে ঠুটিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তখন এক পক্ষের একজন মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত হয়ে মারা যায়। সেই সূত্র,ধরে ঠুটিয়া গ্রামের অসংখ্য বাড়ীতে লুটপাট হয়। সেই সময় বিভিন্ন এলাকায় খোকন চক্রের ডাকাত দলের সদস্যদের খোকন ফোন করে ঠুটিয়া ও ভাটদিঘুলিয়া গ্রামে আসতে বলে,এর মধ্যে খোকন লুটপাট করার মাস্টার প্ল্যান করে ফেলে। তার ডাকাত দলের লোকজন আসলেই কুখ্যাত খোকন নেতৃত্ব দেয় সকল বাড়ী ঘর লুটপাট করার। এভাবেই অসংখ্য নিরপরাধ ও সহজ সরল মানুষের বাড়ীতে থেকে গরু,ছাগল,স্বর্ণালংকার, ফ্রিজ,নগদ টাকা ও ঘরের আসবাবপত্র-সহ সর্বস্ব  লুটে নিয়ে যায়, এতে করে সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয় এই কুখ্যাত খোকন চক্র। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী আনুমানিক প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকার লুটপাট করা হয়।

এবিষয়ে একটি মামলাও হয়,তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো,! সেই মামলার বাদীপক্ষের লোক হয়ে যায়, খোকন সরদার! এছাড়াও জানা যায়, সেই মামলাকে পুঁজি করে কোটি টাকা বাণিজ্য করার পাঁয়তারা ও করছে খোকন ও তার চক্রের সদস্যরা।

একই বছরেই চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়নের বড় ঘোরজান গ্রামেও এরকম আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এতে করে একজন মারা যায়। এরপরই ঐ গ্রামে শুরু হয় লুটপাট ওখানেও খোকন চক্র একাধিক বাড়ীতে লুটপাট চালিয়ে গরু,ছাগল, স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুটে নিয়ে যায়। এবিষয়ে খোকন চক্রের একজন সদস্য নিজেই বলেন,সব কিছু মিলে আনুমানিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মত লুটপাট করার হয়।

আরো জানা যায়, ইতিপূর্বে,ঠুটিয়া গ্রামের মল্লিক বাড়ী থেকে গরু চুরির অভিযোগে খোকনসহ আরো কয়েকজনের নামে মামলাও হয়।

স্থায়ীয় বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানায়, শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণে ঘোরজান ইউনিয়নের সিমান্তে নৌকার ঘাট থেকে ইঞ্জিল চালিত নৌকা থেকে মেশিন চুরি হয়। এর কয়েকদিন পর আরো একটি  নৌকা+স্যালোমেশিন চুরি হয়। এই চুরি সঙ্গে খোকন চক্র জড়িত ছিল।

খোকনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল চুরি করার সত্যতা প্রমাণ ও পাওয়া যায়।জানা যায়, নাটোর,টাংগাইল,পাবনা, সিরাজগঞ্জ ,মানিকগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুর ও ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে খোকন চক্র মোটরসাইকেল চুরি করার পর নিয়ে আসে দুর্গম চর অঞ্চলে এখানেই  বিক্রি করে হয় চোরাইকৃত মোটরসাইকেল। চর অঞ্চলে অসংখ্য চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে এর অধিকাংশই খোকন চক্রের মাধ্যমে ক্রয় করা। দুর্গম অঞ্চলে যেহেতু প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নাই, তাই এসব চোরাইকৃত মোটরসাইকেল বিক্রি করেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে খোকন চক্র এবং ক্রয় করা ব্যক্তিও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে নাই ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট, তাই চোরাইকৃত মোটরসাইকেল সহজেই কিনতে ইচ্ছুক চর অঞ্চলের ক্রেতারা। কারণ এসব চোরাইকৃত মোটরসাইকেল একেবারেই অল্প টাকায় বিক্রি করা হয়।

সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার যমুনার দূর্গম চর অঞ্চলে চলাচল করা ৭৫% মোটরসাইকেলই চোরাইকৃত তার সত্যতার প্রমাণও পাওয়া যায়। মোটরসাইকেলের একাধিক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন জেলা/শহর থেকে  চুরি হওয়া মোটরসাইকেলই বেশি চর অঞ্চলে কারণ অল্প টাকায় পাওয়া যায় আর প্রশাসনের ও কোন তৎপরতা না থাকায় বেশিরভাগই চোরাই মোটরসাইকেল কিনে চালায়।  চোরাইকৃত মোটরসাইকেল কোথা থেকে ক্রোয় করা হয়?এমন প্রশ্নের উত্তরে,নাম গোপন রাখা শর্তে এক মোটরসাইকেল চালক জানায়, আমাদের চর অঞ্চলে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল অধিকাংশই ঠুটিয়ার খোকনের মাধ্যমে কিনা হয়। কিভাবে বিক্রি করা হয় চোরাইকৃত  মোটরসাইকেল তারও ব্যাখ্যা দিলেন সেই চালক। তিনি জানায়,খোকন চক্রের নিজস্ব মোটরসাইকেল টেকনিশিয়ান/মেকার আছে তাদের দিয়ে কিছুটা অন্য রকম করার চেষ্টা করা হয়। জানা যায়, চোরাইকৃত মোটরসাইকেল গুলো খুব সহজেই ভিন্ন রুপে রুপান্তিত করে ফেলে। এরপর নিজেরা কয়েকদিন চালিয়ে বেড়ায় পুরো এলাকা জুড়ে,এরমধ্যে ক্রেতার সন্ধান পেলে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও খোকন নিজেও চোরাইকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। বর্তমানে খোকনের কাছে চোরাইকৃত তিনটি মোটরসাইকেল রয়েছে, Bajaj/Discover 110 CC অন্য দুটি japany Cd 80 CC এই দু’টি তিনি নিজে দুইটি ব্যবহার করে অন্যটি খোকনের বড় ভাই বুদ্ধু সরদার ব্যবহার করে।

খোকনের কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই। তবে, মাদক,চুরি আর ডাকাতির টাকায় নাটোর জেলায় কিনেছে ১২ শতাংশ জমি,নিজ গ্রামে কিনেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি এছাড়াও ব্যাংক ও সুদে দেওয়া আছে কয়েক লক্ষ টাকা আবার নিজ বাড়ীর গোয়ালে রয়েছে প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকার গরু।

জানা যায়, নাটোরে জমি কিনার সুবাদে বর্তমান নাটোরের একটি মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে খোকনের চুক্তি হয়েছে। সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফেনসিডিল,ইয়াবা, হিরোইন ও গাঁজার বড় বড় চালান সরাসরি দুর্গম চর অঞ্চলে ঢুকাতে মরিয়া হয়ে আছে খোকন চক্র।

আর এভাবেই খোকন সরদার ও তার চক্র মাদক,চুরি ও ডাকাতির টাকায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপ নিয়েছে। এভাবেই দুর্গম চর অঞ্চল এলাকায় মাদক,চুরি ও ডাকাত দলের ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে।

বিপর্যস্ত চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের উপস্থিতি নজিরবিহীন! দুর্গম চরঞ্চলে কোনো অপরাধ হলে যমুনা নদীর নৌপথে পাড়ি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অপরাধীরা পালিয়ে যায়। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় নীরবে দুর্গম চরঞ্চলে অপরাধ সম্রাজ্যের রাজত্ব কায়েম করেছে খোকন সরদার। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

এছাড়াও একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানায়, খোকন চক্র সিরাজগঞ্জ কোর্টের যেকোন মামলার বিষয়ে, আসামি পক্ষ যদি মোটা অংকের টাকার দেয় তাহলে,বাদীপক্ষের লোকজনকে সিরাজগঞ্জ কোর্টের আশেপাশে চক্রের সদস্যদের দিয়ে বাদীপক্ষের লোকজনকে মারপিট ও অপহরণ করে মামলা উঠিয়ে দিতে বলে।
যদি মামলা উঠিয়ে না নেয় তাহলে কোর্টের আশেপাশেও বাদীপক্ষের লোকজনকে যেতে দেয় না এবং খোকন চক্রের সদস্যদের দিয়ে মারপিট করে। এমন অসংখ্য ভুক্তভোগীর সন্ধান ও পাওয়া যায়।

এবিষয়ে,স্থানীয় সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা হলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খোকন সরদারের অপরাধ চক্রের  অপকর্ম তো ওপেন সিক্রেট! এলাকার অধিকাংশ মানুষই জানে। তবুও কেউ কিছু বলার সহস রাখে না, কারণ যেই তার অপকর্ম নিয়ে কথা বলবে সেই খোকন চক্রের চুরি,ডাকাতি ও হয়রানির শিকার হবে। তাই সেই ভয়ে  কেউ কিছু বলে না।

এবিষয়ে,স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম গোপন রাখা শর্তে জানান, আমাদের এই যমুনার দুর্গম চর অঞ্চলে মাদকের ভয়াল থাবায় গ্রাস যুবসমাজ, সর্বনাশা মাদকের কারণে স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরাও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরছে। তিনি আরো বলেন, যদি খোকন সরদার ও তার চক্রের অপরাধের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন না করে তাহলে আমাদের চর অঞ্চল এলাকায় মাদক,চুরি,ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।

এবিষয়ে স্থানীয়দের দাবি,অবিলম্বে খোকন সরদার ও তার অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

এবিষয়ে,খোকন সরদারের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি, অনেক চেষ্টার পর তার মুঠোফোনে কল দিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন নিউজ মিউজ করে লাভ নাই।
কারণ আমি চাইলে তোমার মত সাংবাদিককে বুঝিয়ে দিতে পারি খোকন সরদার কি জিনিস! এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এরপর,খোকন চক্রের ঘোরজান ইউনিয়নের দুই সদস্যের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কারণে সাংবাদিক কে হাত পায়ের হাড্ডি ভেগে দিবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এলাকায় ঢুকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে।

এবিষয়ে,সিরাজগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সহকারী পরিচালক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য নির্মল করার লক্ষ্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি । তিনি আরো বলেন, দুর্গম চর অঞ্চলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

এবিষয়ে,কথা বলতে সহকারী পুলিশ সুপার, উল্লাপাড়া সার্কেল ও দায়িত্বে শাহজাদপুর সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান শাকিল এর সঙ্গে  মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দুর্গম চর অঞ্চলে এমন অপরাধী চক্রের নাম এই প্রথম শুনলাম,তিনি আরো বলেন,এখন যেহেতু বিষয়টি  জানলাম আমরা দ্রুত খতিয়ে দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সকল ব্যবস্থাগ্রহন করবো।

দ্বিতীয় পর্বে খোকন চক্রের সকল সদস্যের মুখোশ উন্মোচন। সবুজ বাংলাদেশের দীর্ঘ দিন অনুসন্ধানে খোকন সরদারের বিরুদ্ধে উল্লেখ্য অপরাধ সম্রাজ্যের রাজত্বের সকল তথ্য ও প্রমাণ দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সম্পাদক কার্যালয়ে সংরক্ষণ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com