চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্গত আলমডাঙ্গা থানাধীন নারায়নপুর গ্রামের মরহুম আমানত মন্ডল এর স্ত্রী হওয়ারন নেছার রেকর্ড ভুক্ত সম্পত্তিতে আনুমানিক ৭০ (সত্তর) বছর যাবৎ তার পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ শান্তি প্রিয় ভাবেই বসবাস করে আসছেন। আমানত মন্ডল এর মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিকানা দাবিদার মরহুমের স্ত্রী, ৫ (পাঁচ)ছেলে এবং ৩ (তিন) মেয়ে। রেকর্ড ভুক্ত সম্পত্তির ৮০৫ ও ৮০৬ নং দাগে ওয়ারিশ সূত্রে প্রার্প্ত জমিতে সবাই মিলে মিশে বসবাস করে আসছে কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে বসবাসরত জমির ভাগাভাগি নিয়ে (৫) পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
গত ২০/০৩/২০২৫ ইং তারিখে বাটু শাহ এবং তার বড়ো ভাই আজিত আলীর সাথে জমি ভাগাভাগি নিয়ে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং বাটুশাহ তাহার সীমানা এরিয়ায় বাঁশের বেড়া দিতে গেলে আজিত আলী বাধা প্রদান করে শুরু হয় দুই ভাইয়ের মধ্যে ধস্তা-ধস্তি। এক পর্যায়ে দুই ভাইকে থামাতে ছোট ভাই আব্দুল মতিন ছুটে আসে এবং তাদের কে থামায়। আজিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, মসজিদে ইমামতি করে ঠিকই কিন্তু গায়ের জোরে তিন বোনকে সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে একাই বেশি জমি ভোগ দখলে আছে। এসব ঘটনার পরিপেক্ষিতে ২৯/০৪/২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ৮ (আট) ঘটিকার সময় আজিত আলির ছেলে ১/হারুন , (৪০) হারুনের ছেলে ২/ বাপ্পি, ( ২১) হারুনের স্ত্রী ৩/ আফরোজা (৩৬) ৪/আজিত আলী (৫৫) পিতা-মৃত আমানত আলী , ৫/মোঃ দুলু (৫০) পিতা-মৃত মনিরুদ্দিন , ৬/ মতিয়ার রহমান (৫২) পিতা-গোলাপ মন্ডল পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে বাটুর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে এলো পাতাড়ি মেরে হাত এবং পা ভেঙ্গে দিয়ে তারা সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাটু নিজে বাদি হযে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং : সি ,আর-৩৮৫/২৫ , আদালতে হাজির না হওয়ার কারণে উক্ত মামলাই আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়। ওয়ারেন্ট বের হওয়া সত্তেও আসামি দেরকে গ্রেফতার করেনি মামলার আয়ু ছি আই সঞ্জিত।
সিআই সঞ্জিদ আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। উক্ত মামলার ৬নং আসামি মতিয়ার মূলত একজন বামপন্থী দলের সন্ত্রাসী বাহিনীর গড ফাদার সঞ্জিত সি আই এর সাথে তার ভালো সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। কিছুদিন পরে আসামিরা, সি আই সঞ্জিদ, বিনপির নেতা আলমশাহ সহ তাদের দলবল নিয়ে বাটু সাহ এর বাড়িতে ঢুকে জীবন নাসের হুমকি দেন বলেন, কোর্ট থেকে কেচ মীমাংসা না করলে তোরা খুব সমস্যায় পড়বি, মামলা উঠাও তাহলে বাটু শাহ এর চিকিৎসা বাবদ ২ (দুই) লক্ষ টাকা দিবো। যদি মীমাংসায় আসিস তাহলে তোদের জন্য ভালো হবে তা না হলে তোরা সব গুলো মরবি। জীবনাসের ভয়ে কেচ মামলা মীমাংসা করা হয়েছে কিন্তু ওরা চিকিৎসা বাবদ বাটুকে একটা কানা করিও দেয় নাই। সে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছে, কেচ এখনো কোর্ট এ চলমান। এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামি উক্ত মামলায় এখনো জামিন পাইনি তবে পুলিশের নাকের ডোগা দিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সি আই সঞ্জিত এর দুর্নীতির কারণে এলাকাবাসী ন্যায্য বিচার পাইনা। টাকার অভাবে বাটূ তাহার পায়ের চিকিৎসা আজও ঠিকমতো করাতে পারেনি ,তার পা এখনো ভালো হয়নি, এখন তার কোনো কর্ম ক্ষমতা নেই।
উক্ত কেচের ৫নং আসামী দুলু এবং মতিয়ার রহমান পিটিশন নং ২৬১/২৫ বিজ্ঞ আদালত, স্মারক নং ৬৯৪, মামলাটির সাথেও জড়িত। তাহারা এলাকায় সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে অনেক অনৈতিক কর্ম কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মতিয়ার এলাকায় মূলত একটা সন্ত্রাসী, ডাকাতি, দুষ্কৃতী কারি গ্রুপ পরিচালনা করছে। তাদের গ্রুপ এর মধ্যে আছে ১/বাবুল ( ৩৭) পিতা : মৃত তোরাব আলি ২/মো: দুলু পিতা : মৃত মনির উদ্দিন ৩/মো: ইজাজুল পিতা : মৃত গোলাপ মন্ডল ৪/ মো: দুখু মিয়া পিতা : মতিয়ার রহমান ৫/মো: মাসুদ পিতা : মো: দুলু ৬/ মো: টেংরা পিতা : মৃত তুরাপ আলি ৭/মো: তুতা, পিতা: মো: টেংরা ৮/মো: তিতু, পিতা: মোঃ পচা ৯/ ঋতু , পিতা: মোঃ বাবুল ১০/মোঃ পচা, পিতা : মৃত তুরাপ আলী এছাড়া নাম না জানা আরো অনেকেই।
বিভিন্ন সময়ে এই ডাকাত গোষ্ঠীর সাথে এক হয়ে গ্রামের অন্য গোষ্ঠীর লোক জন দের সাথে মারামারি করতে দেখা যায়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও আছে একাধিক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে নিরীহ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এই দুর্বৃত্তরা।
বর্তমানে প্রশাসনিক সহযোগিতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আঁতাত করে জমি দখল, পান চুরি, ছাগল চুরি, গরু চুরি, যমুনার মাঠে ডাকাতি, ঘোষ বিলার ব্রিজে ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।