নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করেছেন, তা প্রকাশের জন্য একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক এই নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ফৌজদারি, এমনকি হত্যাকাণ্ডের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষমা করেছেন বা তাদের দণ্ড মওকুফ করেছেন। এর ফলে, অনেক ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সমাজে মাফিয়া ডন হিসেবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন।
এছাড়া নোটিশে আরো বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, এবং কার সুপারিশ বা তদবিরে দাগী ও কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেন বা তাদের দণ্ড মওকুফ করেন, তা জানার অধিকার সাধারণ নাগরিকদের রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে কিনা বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা এবং কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে, সেই তথ্য ১৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই তথ্য সরবরাহ করা না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে।