এটিএম আলী আহাম্মেদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা। সম্প্রতি বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২৩৭টি আসনে তালিকা প্রকাশ করলেও, সেই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী না থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার বাঞ্ছারামপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক বিশাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম ফাহাদ।
তিনি বলেন, আমরা ১৭ বছর ধরে ধানের শীষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। এখন যদি আমার প্রথম ভোট ধানের শীষে দিতে না পারি, তবে সেটা আমাদের ত্যাগের প্রতি অন্যায় হবে। বাম জোট প্রার্থী জুনায়েদ সাকিকে মনোনয়ন দেওয়া হলে, তা বাঞ্ছারামপুরের তৃণমূলের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, বাঞ্ছারামপুরের মানুষ জানে বিএনপি মানে এম এ খালেক পিএসসি। স্থানীয়ভাবে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রায় ৭৫%। তাই যদি শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীক না দেওয়া হয়, আমরা একক প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক পিএসসি সাহেবকে সমর্থন দিতে বাধ্য হবো।
তৃণমূল নেতাদের মতে, জাতীয় পর্যায়ে জুনায়েদ সাকি পরিচিত নেতা হলেও বাঞ্ছারামপুরের রাজনীতিতে তিনি এখনো নতুন মুখ। এ অবস্থায় যদি ধানের শীষ প্রতীক না আসে, তবে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ভোটভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
স্থানীয় নেতারা বলেন, বাঞ্ছারামপুরের নয়ন শহীদ হয়েছিলেন ধানের শীষের প্রতীকের জন্য। সেই মাটিতে অন্য কোনো প্রতীকের প্রার্থী দাঁড়ানো মানে শহীদের ত্যাগের অবমাননা। বাঞ্ছারামপুরের মাটি ধানের শীষের ঘাটি, এই মাটি শহীদ নয়নের রক্তে রঞ্জিত। এখানে ধানের শীষ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
তাদের দাবি, আগামী নির্বাচনে অবশ্যই বাঞ্ছারামপুরে ধানের শীষ প্রতীক দিতে হবে। অন্যথায় তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নেবে না। তারা আরও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, যদি জোটের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন না আসে, বিএনপি এককভাবে এম এ খালেক পিএসসি-কে প্রার্থী করে মাঠে নামবে। তাঁর জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে যে, ভোটের মাঠে অনেক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে স্লোগান তোলেন ধানের শীষ মানেই বাঞ্ছারামপুরের আত্মার প্রতীক আমরা ধানের শীষেই বিশ্বাসী।