ফরিদপুর শহরে ভ্রাম্যমান পতিতাদের উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ট

পার্থ প্রতিম ভদ্র: ফরিদপুর শহরের শরীয়াতুল্লা বাজারের খড়িপট্টি, শরীয়তুল্লাহ বাজার সংলগ্ন আবাসিক হোটেল গুলো, বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন গুলশান আবাসিক হোটেল, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড প্রগতি পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে হোটেল আমাজান, গোয়ালচামট বিদ্যুৎ অফিসের বিপরীত পাশে অবস্থিত যোন হাটা সংলগ্ন আবাসিক হোটেল গুলো, শিশু পার্ক সংলগ্ন আবাসিক হোটেল গুলো ও হেলিপোর্ট বাজারের বিপরীতে হোটেল বলাকা সহ বেশ কিছু আবাসিক হোটেলে প্রকাশ্যে চলছে কিশোরীদের নিয়ে দেহ ব্যবসা।

ফরিদপুর জেলা সহ পাশের জেলা থেকে কিছু উটতি বয়সের কিশোরীরা দালাল চক্রের মাধ্যমে শহরে প্রবেশ করে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির কথা বলে শহরের আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এই দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। প্রতিদিন সকালে এই উঠতি বয়সের কিশোরীরা বাসা থেকে বের হয়ে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে শহরের এই আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রবেশ করে এবং রাত্রি আটটার পরে এরা বাসায় ফিরে যায়।

বিগত দিনে এই দেহ ব্যবসা করা কিশোরীরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে হত্যার শিকার হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে। শহরের উটতি বয়সের যুবকরা যৌন তৃষ্ণা মিটানোর জন্য আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রবেশ করে তারা উশৃঙ্খল জীবন যাপনে পরিণত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল কেন্দ্রীক যৌন ব্যবসার পাশাপাশি একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ীরা ওখানে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। একটি স্বাধীন সর্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে প্রকাশ্যে এই ধরনের অবৈধ যৌন ব্যবসা কি করে প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে এই প্রশ্নটি শহরের সকল বিবেকবান ব্যক্তির মুখে মুখে।

দেশে প্রচলিত আইন থাকতেও কেন এই ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না এটাও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তাই ফরিদপুর শহরবাসী মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়, মাননীয় সেনা কর্মকর্তা মহোদয় ও রেপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান ১০, সিপিসি ৩ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারে জরুরি ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com