নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক-ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এই নিয়ে একটি পক্ষ কুষ্টিয়া শহরের ফুলতলায় অবস্থিত ইউনিয়ন অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও পরে তালাবদ্ধ করে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দ্বন্দ্ব ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে যেতে পারে।
কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক-ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকবর বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম তারিকের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন অফিসে এসে আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা তখন সদস্যদের কার্ড নবায়নের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তাদের কথা মতো বের না হওয়ায় তারা উত্তেজিত হয়ে গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা বের হয়ে যাই।
আলী আকবর জানান, গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক-ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই একটি পক্ষ আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তাদের বিতর্ক মেটাতে ফেডারেশনের নেতারা একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি কুষ্টিয়া আসলেই ওই পক্ষ হট্টগোল করেন। এ অবস্থায় ফেডারেশন হিসাবের নথিপত্র ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাদেরও তিনবার যেতে হয়। হিসাবনিকাশে কোনো ত্রুটি ধরা না পড়লেও ওই পক্ষ থেমে থাকেনি। তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিএনপি নেতা আব্দুল মাজেদের ছেলে শাওন এই ঘটনার কলকাঠি নাড়ছেন। গত শনিবার খাজানগরে অবস্থিত শাওনের অফিসে মিটিং করেন হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া তারেকসহ কয়েকজন। সেই মিটিংয়ে হামলা ও অফিসে তালা ঝুলানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু বলেন, আয় ব্যয়ের হিসাবে কোনো ত্রুটি নেই। মূলত আব্দুল মাজেদকে নির্বাচন কমিশনে না রাখার তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করছেন। ওই ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আগামী ২ অক্টোবর কুষ্টিয়া যাবেন। উনিই তালা খুলে কার্যক্রম শুরু করবেন। পরে কেউ বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।