সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ কখনো বন্ধ হয়নি : পরিবেশ উপদেষ্টা

বাসস: পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ কখনোই বন্ধ করা হয়নি।

আজ শনিবার রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে মার্ক এঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ হোসেন, বাংলাদেশ নদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এনায়েতুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন।

উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ নিয়ে অনেক অপপ্রচার আছে।  কখনই সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করিনি। তবে সেখানে যেতে হলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করতে বলেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে এখনো কারো জন্য বাধা নেই। তবে সেখানে জাহাজ থেকে নেমে দুই ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে পারবে না।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাত্রী যাপনের বিষয়ে ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আমাদের সরকার শুধু সেটা বাস্তবায়ন করছে মাত্র। অর্থাৎ সেন্টমার্টিন দ্বীপে কারো জন্য প্রবেশে বাধা নেই তবে সেখানে দুই ঘন্টা বেশি অবস্থান করতে পারবে না। জাহাজ থেকে নেমে পরিদর্শন করে আবার চলে আসবে।

উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সারা বছরই যাতায়াত করা যাবে। তবে বর্ষাকালীন সময় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে যাতায়াতে কিছুটা  অসুবিধা হয় বিধায় এই সময় যেতে কিছুটা বিধি নিষেধ আছে। আমরা হাওর, বাওর, খাল বিল নদী রক্ষায় কাজ করছি। ৬৪ জেলায় ৬৪ নদী দূষণমুক্ত করতে আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নিয়েছি। বান্দরবান জেলা ব্যতীত ৬৩ জেলা থেকে প্রতিবেদন এসেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে হালদা করোতোয়া তুরাগ, কীর্তনখোলাসহ ১৮টি নদী দুষণমুক্ত করার জন্য প্রকল্প নিয়েছি। আশা করি ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শুরু করতে পারবো।

তিনি বলেন, আন্তনদী সমীক্ষা করে আমাদের দেশে ১১৪টি নদীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে সুন্দরবন এবং পাহাড়ি এলাকায় কিছু নদী বাদ পড়েছে। আগামীতে এই দুই স্থানের নদীগুলোকে আমরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব।

উপদেষ্টা বলেন, তুরাগ বালু ও শীতলক্ষ্যাসহ চারটি নদী দূষণমুক্ত করার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় আগামী ডিসেম্বরে এই বিষয়ে কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নদী দূষণমুক্ত করণে বিশেষ অবদানের জন্য তিনজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com