এম. আকতারুজ্জামান : মাদারীপুরের কালকিনিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগমকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে অভিযুক্ত(১) বিল্লাল খান পিতা মৃত নেহাল খান। (২) রাবেয়া খানম পিতা হারুনুর রশিদ।
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে দক্ষিণ ক্রোকিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগম বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় গত ১৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ক্রোকিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ বিল্লাল হোসেন খান বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের দাবি করে লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগমের উপর হামলা চালায়। শাহানারা বেগমকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এতে তার ডান চোখের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ সময় শাহানারা বেগমের চিৎকারে শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিল্লাল দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে বেশ কয়েকবার প্রধান শিক্ষিকাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল এই বিল্লাল। বিল্লাল এলাকায় বিভিন্ন মাস্তানি করে বেড়ায়। ভুক্তভোগী বলছে আমি ন্যায়বিচার নিয়েও শঙ্কিত। প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে বিল্লালের পক্ষ সমর্থন করে। এখানে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। কারণ আমি থানায় মামলা করতে চাইলে থানা মামলা নিতে গরিমসি করেন। আমি এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষিকার স্বামী জানান -থানায় অভিযোগ দিলে ৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার গাফিলতি রয়েছেবলে জানান। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান -জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণেই দুই পক্ষের মধ্যে এ হামলাটি সংঘটিত হয়। দু পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শিক্ষিকা শাহানারা বেগমের অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ ব্যপারে স্থানীয় কয়েকজন জানান পুলিশের কিছু গাফিলতি লক্ষ্য করা যায়। সময় মত মামলা না নেয়া তারই একটি অংশ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মিডিয়ায় বেশ কিছু নিউজ হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা শাহানারা বেগমের পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই ঘটনার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন অঘটন । এমনটাই ভাবছেন পরিবারের সদস্যরা।