আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছেলের অস্ত্রের আঘাতে পিতা গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ছালাম প্রধানের বড় ছেলে পিতার নিকট থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে। পিতা ছালাম প্রধান জমি দলিল করে দিতে রাজি না হওয়ায় পিতাকে বেধড়প মারপিট করেন তার বড় ছেলে নুরুল আমিন,ছেলের বউ লিলুফা ও নাতি লিটন প্রধান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,“গত বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল ১০টায় ছালাম প্রধানের বড় ছেলে পিতার নিকট থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে। পিতা ছালাম প্রধান জমি দলিল করে দিতে রাজি না হওয়ায় তার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে,ঘরের ভিতর স্টিলের বাক্সের তালা ভেঙ্গে ছোট ছেলের চাকুরীর বেতনের নগদ তিন লক্ষ পঞ্চাশ টাকা এবং পুত্রবধুর ব্যবহার করা দুই ভরী সমপরিমাণ স্বর্ণের হাতের চুড়ি,কানের দুল ও গলার চেইন লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে,তার পিতা-মাতাকে বেধড়ক মারপিট করেন তার বড় ছেলে নুরুল আমিন,তার স্ত্রী লিলুফা ও ছেলে লিটন প্রধান। সন্ত্রাসী কায়দায় লোহার রড,ধারালো ছুরি,বাঁশের লাঠি,দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করেন। নুরুল আমিন তার পিতা ছালামকে মারার হুকুম দিলে,নুরুল আমিনের স্ত্রী নিলুফা বেগম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে শ্বশুর ছালাম প্রধানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি আঘাত করেন এবং ছেলে নূরুল আমিন তাহার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পিতা ছালাম প্রধানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত করেন। আঘাতটির ফলে ছালাম প্রধানের মাথায় গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। তার মাতা গোলেজা বেগমকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।”
পরে তাদের আত্মচিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়েছে বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে।