আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গাইবান্ধা-০৫(সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও অপপ্রচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেন, গত ১৫ আগস্ট আমার দেশ পত্রিকায় তাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “আমি কোনো দিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত ছিলাম না, নই, ভবিষ্যতেও হব না। যদি কেউ এর প্রমাণ দিতে পারে, আমি যেকোনো শাস্তি বিনা শর্তে মেনে নেব।”
নিজেকে একজন শিল্পপতি হিসেবে উল্লেখ করে নিশাদ বলেন, তিনি কখনোই আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা গ্রহণ করেননি। তার ভাষায়, “আমি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিকাদারি করিনি, সরবরাহ দিইনি, বালু বা জলমহাল কিংবা হাটঘাট ইজারা নেইনি। আমার প্রতিষ্ঠিত শিল্পকারখানা চালাতে সরকারি সহায়তা লাগেনি।”
দলীয় পদ লাভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতির পদ তিনি যোগ্যতা ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অর্জন করেছেন। সাঘাটা-ফুলছড়ি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা লিখিতভাবে জেলা কমিটির কাছে তার নাম প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে জেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে সুপারিশ পাঠায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে তাকে সহ-সভাপতির পদ প্রদান করে। “এখানে কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি, কিংবা কাউকে আমি কোনো টাকা দিইনি। অর্থের বিনিময়ে পদ কেনার অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র।”
নাহিদুজ্জামান নিশাদ অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আমার দেশ পত্রিকায় ‘বিএনপির বড় পদ কিনলেন আ. লীগের ডামি প্রার্থী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে জেলা বিএনপির মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা ও জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।