নিজস্ব প্রতিবেদক : সরেজমিনে ক্রাইম অনুসন্ধানী টিমের প্রতিবেদক, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে মাদক বিক্রি। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে । গাজা বিক্রেতাদের কাছ থেকে নিচ্ছে মাসোয়ারা । ঢাকা বিমানবন্দর থানা এরিয়ায় ঢাকা, ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডের দুই পাশের বিভিন্ন ধরনের দোকান পাট হতে ফাঁড়ির আই সি গফুরের নির্দেশে এ এস আই ফখরুলের নিয়োগ প্রাপ্ত লাইনম্যান চাঁদাবাজ আনোয়ার প্রতিদিন হকার দের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ করে টাকা উঠায় । ঠিকমত চাঁদার টাকা না দিলে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা আনোয়ারের হাতে হচ্ছে লাঞ্ছিত। গণমাধ্যম কর্মী এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ফাঁড়ির আই সি গফুর মিয়াকে ফোন করলে এক অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দোকানদাররা মাঝেমধ্যে রাস্তায় বসে এবং আমার ফোর্স দিয়ে আমি দোকান পাট উঠিয়ে দিই তবে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। রাস্তার দুই ধারে কাউন্টার বসিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। নাম না জানাতে ইচ্ছুক কাউন্টারে চাকুরীরত একজন কর্মচারী বলেন, প্রতিদিন প্রত্যেকটি কাউন্টার থেকে এ এস আই ফখরুলের মাধ্যমে আইসি সাহেবকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। ভিডিও ফুটেজ সংগৃহীত, রেল ক্রসিংয়ের আশপাশের ফল ফ্রুটের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদাবাজ আনোয়ার, এ এস আই ফখরুলের নির্দেশে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা উঠায় এ ব্যাপারে আইসি সাহেবকে প্রশ্ন করলে, তাহার মুখ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। বাসের কাউন্টার, অবৈধ দোকানপাট থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা কালেকশন করছে এ এস আই ফখরুল। লাইনম্যান আনোয়ার ফরিদ পুরের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর লোক দাবি করে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই বিমানবন্দরের ফুটপাত থেকে পুলিশের সাথে সক্ষতা রেখে বিমানবন্দর এরিয়ায় হকার বাণিজ্যের লাইন ম্যান হিসেবে চাঁদা কালেকশন করেছে। এখন বর্তমানে আনোয়ার আই সি আব্দুল গফুর এবং এ এস আই ফকরুলের সহযোগিতায় ফুটপাতের নিরীহ ব্যবসায়ী দেরকে নির্যাতন করে ঠিকমতো চাঁদা না দিলে। গণমাধ্যম কর্মী, এ এস আই ফখরুলের মুঠোফোনে ফোন করলে রিং হবার পরেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই। এ এস আই ফখরুল সন্ধ্যার পরে লাইনম্যান আনোয়ারকে সাথে নিয়ে চাঁদা উঠানোর কাজে ব্যস্ত থাকে। হকারদের দাবি চাঁদাবাজ আনোয়ারকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি গফুর মিয়াকে ওয়ান্ডারইন হোটেলের সামনে এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশ এরিয়ায় ওপেনে মাদক বিক্রি করছে বেশ কিছু নারী ও পুরুষ তাদেরকে গ্রেফতার করেন না কেন ? জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, স্টেশন এরিয়া জি আর পির অধীনে আমার কিছুই করার নেই। রাস্তায় অস্থায়ী বাস কাউন্টার, দোকান, পাটের কারণে জনগণের চলাচলে অসুবিধা এবং যানবহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত, মাদক, বিক্রি , ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে পুরো বিমানবন্দর থানা এরিয়ায় , প্রশাসন কেন নীরব ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ডি এমপি উত্তরা বিভাগের ডিসি (উপ-পুলিশ কমিশনার) মহিদুল ইসলাম সাহেবের মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, চাঁদাবাজির ব্যাপারে আমার কোন পুলিশ সদস্য যদি জড়িত থাকে তাহলে তাহার বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব এবং ফুটপাতে দোকানপাট কাউন্টার উচ্ছেদের ব্যাপারে তিনি বলেন এটা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। ছিনতাইকারী এবং মাদক বিক্রেতাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে ধরার পরে তাদের নিজের শরীরে নিজেরাই ব্লেট দিয়ে কেটে যখম করে, প্রস্রাব, পায়খানা করে ইত্যাদি, ইত্যাদি। তারপরেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে । ডিসির কথার পরিপ্রেক্ষিতে ফোন করা হয় সিটি কর্পোরেশনের উত্তরা জনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিমা ম্যাডামকে, তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছি , ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা এটাতো পুলিশেরও কাজ ,শুধু আমরাই কেন উচ্ছেদ করব ? পুলিশ কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে , আর সরকারের কাছ থেকে মাসে মাসে বেতন নিবে ? বিশ্লেষকরা বলছে , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী ফেসিবাদ সরকার দুর্নীতি করার কারণে দেশ থেকে চোরের মত পালিয়েছে। দুর্বৃত্তদের হাতে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। মেরে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তারপরেও বাংলাদেশ পুলিশের স্বভাব চরিত্র এখনো ভালো হয় নাই । তাহারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের পুলিশের মত চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করলে পুলিশ সদস্যরা পলিটিক্যাল লোকজনের সহযোগিতায় গণমাধ্যম কর্মীকে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করার চেষ্টা করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয় চাঁদাবাজি ঠিক রাখার জন্য । তাহারা ফুটপাতের গরিব হকারদের কাছ থেকে কৌশলে লোক মাধ্যমে টাকা আদায় করছে , মামলার ভয় দেখিয়ে, সার্জেন্ট , ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহনে করছে চাঁদাবাজি। দেখার মত কেউ নাই এ যেন “চোরে চোরে মাসতুতো ভাই “