মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন : দীর্ঘ চার দশকেরও উপরে রাজনৈতিক জীবন, ৪২ বছর ত্যাগ-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে আসন্ন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন- আলহাজ্ব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।
তিনি বলেন- “এই পদ আমার কাছে ক্ষমতার আসন নয় এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার ও একটি আমানত”। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেল, জুলুম, হামলা ও অসংখ্য মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হয়েও দলের নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো এক বিন্দু সরাইনি। কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতেও দলের স্বার্থ ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে থেকেছি আপোষহীনভাবে। ৫৬ টি মামলা খেয়েও আমার প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের দিকে থাকিয়ে কারও সাথে আপোষ হইনি।
তিনি আরও বলেন- “একটি শক্তিশালী সংগঠনের মেরুদণ্ড হলো ঐক্য। সেই ঐক্য রক্ষায় প্রয়োজন সৎ, ত্যাগী ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব। আমি সেই সততা, শিষ্টাচার ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে দলের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখেছি” এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- “আপনাদের একটি ভোট শুধু আমাকে সাধারণ সম্পাদক করবে না এটি হবে আমার ত্যাগ, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান ও দলের প্রতি ভালোবাসার স্বীকৃতি স্বরূপ । আল্লাহর ইচ্ছায়, আমি নির্বাচিত হলে নেত্রকোনা-৩ আসনে এমপি নির্বাচনেও জয়ী হয়ে আপনাদের সংসদ সদস্য হিসেবেও পাশে থাকব।”
দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন- “দলের বিজয় আসে সবার একসাথে কাজ করার মাধ্যমে। সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা পেলে আমরা নেত্রকোনা জেলা বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও সংগ্রামী রূপে গড়ে তুলতে পারবো।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- নির্ভেজাল নির্বাচন হবে, জনগণের অধিকার জনগণ ঠিকই রক্ষা করতে পারবে। এই নির্বাচন জনগণের অধিকার আদায়ের নির্বাচন। আমি গত আওয়ামী দুঃশাসন আমলে এই দলকে টিকিয়ে রাখার জন্য দলের জন্য যা যা করার তাই করে দলকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছি, তাদের সবসময় তাদের পাশে থেকেছি।
অতি শিগগিরই জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। আর শতস্ফুতর্ভাবে কাউন্সিলরা অবশ্যই আমাকে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন আমি আশা করি।