ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার সংযোগ সড়কটির ৮০০মিটার রাস্তা কাঁচা, জনদুর্ভোগ চরমে

মীর ফাহাদ ভালুকা ময়মনসিংহ প্রতিবেদক: ময়মসিংহের ভালুকা ও ত্রিশাল  উপজেলার চলা চলের ৮০০ মিটার রাস্তা পাকা করন না হওয়ায় জনদুর্ভোগে ভোগছেন দুই  উপজেলার সাধারণ মানুষ। জানাযায় , ভালুকা উপজেলার পাকা করনের শেষ অংশে প্রায় চারশত মিটার ও ত্রিশাল উপজেলার চারশত মিটার রাস্তা এখনো কাঁচা ও চলা চলের অন উপযোগি হয়ে পরেছে। এই রাস্তাটি দুই উপজেলার সংযোগ স্থল। রাস্তা পাকা করনের জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি  এলাকাবাসীর পক্ষে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন এস এম নাফিজুর রহমান নাফিজ। ভালুকা উপজেলার প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস  দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়,ভালুকা উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজার হয়ে ত্রিশাল উপজেলার সাইনবোর্ড ও বগার বাজার চৌওরাস্তা  সড়কটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিলিত হয়েছে । -ভালুকা-গফরগাঁও ত্রিশাল এ তিন উপজেলাকে সংযুক্তকারী একটি বহুল জনগুরুত্বপূর্ণ আন্তঃউপজেলা সড়ক এইটি। এই সড়কটি গুপ্ত বৃন্দাবন সড়ক নামে পরিচিত। বিগত সময়ে ত্রিশাল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক পর্যায়ক্রমে এই সড়কটি (চেইনেজ ৭২০০মিঃ) পাঁকাকরণ করা হলেও ত্রিশাল উপজেলার শেষাংশে ৪০০ মিটার ও ভালুকা উপজেলার শুরুর অংশের  ৪০০ মিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। মাঝের সামান্য এটুকু অংশ কাঁচা থাকার ফলে সড়কটি ব্যবহারকারী তিন উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এর প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সড়কটি পাকা না হওয়ার কারণে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। রাস্তার দিয়ে কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে তাদের যাতায়াতে অনেক কষ্ট ও সমস্যার সৃষ্টি হয়।  পুরো  কাঁচা রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। যা চলা চলে অন উপযোগি হয়ে পরেছে।  তাদের দাবি সড়ক পাকা হলে একদিকে ভোগান্তি কমবে অন্যদিকে অর্থনৈতিক গতিশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট বড় গর্তে ভরা এই রাস্তায় শুকনো মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে মোটেই সম্ভব নয়। তা ছাড়া শুকনা মৌসুমেও বিভিন্ন যানবাহনের চাকা গর্তে আটকে যাচ্ছে। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রত এই রাস্তা পাকা করা হোক। 

গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা যায় ওই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত। প্রতিদিন তিন উপজেলার মানুষ হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে চলাচল করে। এলাকার চাষিরা উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন বাজারে আনা-নেওয়া করেন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট ছোট বিভিন্ন যানবাহনে।

স্থানীয় ব্যক্তি হানিফ আকন্দ বলেন , এই সড়কটি বৃট্রিশ আমলে তৈরি হয়েছি রেল লাইন করার জন্য। তিন উপজেলার মানুষের চলা চলের সড়কটি কিছু অংশ পাকা করন  না হওয়ায় হয়। সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে যা বর্তমানে  চলা চলের অনউপযোগি হয়ে পরেছে। মালবাহী ট্রাক যদিও আসে তাও গর্তে আটকে থাকে ।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা কেউ দেখে না। কাচাঁ  ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলে না। বাজারে যাও লাগে আওন লাগে। সামান্ন কিছু অংশ রাস্তা পাকা না থাকায় অনেকের ১০ থেকে ২০ কিলো মিটার রাস্তা গোড়ে যেতে হয় কর্মস্থলে।   দ্রুত   রাস্তাটা পাকা করা দাবি জানাচ্ছি।’

ভ্যানগাড়ি চালক কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার সারা দেশে এত কাজ করতাছে। এই রাস্তটার দিক একটু তাকাইলে ভালো হতো।  দুই উপজেলার মাঝ খানে কিছু অংশ কাচাঁ রয়েগেল। আমরা এই রাস্তয় চলাচল করি, আমরাই বুঝি এই পথে চলাচল করা কত কষ্টের। এইগুলা দেখা যেন কেউ নাই।’

সুরাফ মিয়া নামের এক পথচারী বলেন, এই কাঁচা রাস্তায় বালি নিয়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক এই পথে চলাচল করে। এই কারণে এই রাস্তা খারাপ হচ্ছে , কাচাঁ রাস্তা বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়েগেছে। হেটে চলাচল করাও কষ্ট।

ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম বলেন , ভালুকা উপজেলার শেষ অংশে শিবগঞ্জ শান্তিগঞ্জ বাজার হয়ে  চার শত মিটার রাস্তা এই বছরে নতুন বাজেটে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com