নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেয়ার (FAIR) সম্প্রতি মিরপুর আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফিরোজ আহম্মেদের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গত ১১ই আগস্ট, ভোরে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার উপর দেশীয় অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে নৃশংস হামলা চালায়।
প্রতিবাদ ও বিচার দাবি: মানবাধিকার কর্মীর উপর নির্মম হামলা
এই কাপুরুষোচিত হামলা কেবল একজন ব্যক্তির উপর আঘাত নয়, বরং এটি সমগ্র সমাজ ও মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল ফিরোজ আহম্মেদকে হত্যা করা, যিনি দীর্ঘকাল ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে আসছেন। তার সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং সমাজের নানা ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা প্রদান। একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মীর উপর এমন হামলা সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এক চরম হুমকি।
চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আহম্মেদ বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মাথা, বুক, হাত ও পায়ের একাধিক হাড় ভেঙে গেছে এবং আঘাতের গভীরতা অত্যন্ত মারাত্মক। চিকিৎসকদের মতে, তার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই ধরনের হিংস্র আক্রমণ সমাজে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেয়, যা মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিগুলির পরিপন্থী।
ফেয়ার এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ বিষয়ে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সমাজের সকল স্তরের জনগণ, সুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, এই হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানান এবং ফিরোজ আহম্মেদের পাশে দাঁড়ান।
আমরা বিশ্বাস করি, সন্ত্রাস ও সহিংসতা দিয়ে সমাজের অগ্রগতিকে থামানো যাবে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সমাজে যারা মানবতার জন্য কাজ করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।