নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড় দেওড়া গান্ধি বাড়ি এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। তবে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় আপোষ মীমাংসা করে পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে জানান, তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গত ৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোসলখানায় থাকা অবস্থায় পাশের রুমের ভাড়াটিয়া রাসেল ও অজ্ঞাত এক যুবক তার ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তারা জোরপূর্বক নিজেদের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
৯ আগস্ট আবারও একই প্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরদিন ১০ আগস্ট টঙ্গী পশ্চিম থানায় রাসেল ও অজ্ঞাত এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পর পুলিশ রাসেলকে আটক করে। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও আরেক বাসিন্দা জাহাঙ্গীর থানায় বসে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফার মাধ্যমে তাকে অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করেন। এতে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে একটি বাসায় আটকে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলেও জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর দাবি করেন, “প্রথমে মেয়েটির কথা বিশ্বাস করেছিলাম। পরে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করাই।
ডিস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, “বাদীর স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে রাসেলের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এরপর তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিব বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রাসেলকে আটক করা হয়েছিল। পরে বাদী অভিযোগ তুলে নিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।