চীনে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ৭ হাজার, কঠোর অবস্থানে সরকার

ইউএনবি নিউজ: চীনজুড়ে ফের ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। এবার মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সংক্রমণ এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির সরকার। 

মশার উৎপত্তিস্থল অনুসন্ধানে ড্রোন ব্যবহার, মশারি, জীবাণুনাশক স্প্রে থেকে শুরু করে জড়িতদের জরিমানা করার মতো বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন।

বুধবার (৬ আগস্ট) পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর অধিকাংশই হংকংয়ের নিকটবর্তী ম্যানুফ্যাকচারিং হাব ফোশান শহরে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।

চিকুনগুনিয়া মূলত মশাবাহিত একটি রোগ। এই ভাইরাসের কারণে ডেঙ্গুর মতো জ্বর ও জয়েন্টে ব্যথা হয়। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।

চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শহরের সড়ক, আবাসিক এলাকা, নির্মাণস্থলসহ অন্যান্য স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করার খবর দেখানো হয়েছে। এমনকি কর্মীরা অফিস ভবনে প্রবেশের আগে কিছু জায়গায় স্প্রে করা হচ্ছে।

দেশটিতে মশারোধে খালি বোতল, ফুলদানি বা অন্যান্য স্থানে জমাট পানি ফেলে না দিলে ১০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ১,৪০০ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনের গুয়াংডং প্রদেশে, যেখানে ডংগুয়ানসহ অন্যান্য শিল্পকেন্দ্র অবস্থিত, ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে বোলিভিয়া ও ভারত মহাসাগরের কিছু দ্বীপরাজ্যও বিপৎসীমার মধ্যে রয়েছে। ব্রাজিলও ভাইরাসের প্রভাব ব্যাপক দেখেছে।

চীনে ভারী বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা পরিস্থিতি আরও অবনতি করেছে। ২০০৩ সালের মারাত্মক সার্স মহামারির পর থেকে চীন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এবার ফোশানে রোগীদের ন্যূনতম এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মশার লার্ভা খাওয়া মাছ ব্যবহার ও বড় মশাদের মাধ্যমে ভাইরাসবাহী মশাদের শিকার করার চেষ্টা নিয়েও খবর এসেছে। জাতীয় পর্যায়ে সভা হয়েছে এবং প্রোটোকল গৃহীত হয়েছে, যা চীনের ভাইরাস সংক্রমণ থামানোর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com