চ্যানেল7বিডি ডেক্স: বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে অনুপ্রেরণার এক নাম ফরিদা আক্তার। চার সন্তানের জননী হয়েও ট্রেনচালকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি, যা নারীর ক্ষমতায়নের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
লালমনিরহাট রেল বিভাগের একমাত্র নারী ট্রেনচালক ফরিদা আক্তার মাত্র ১০ মাসের সন্তানকে বাড়িতে রেখে প্রতিদিন ছুটে চলছেন রেলের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তার সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ রেল বিভাগসহ পুরো সমাজ।
চ্যালেঞ্জকে জয় করার অদম্য মানসিকতা
দিনাজপুরের মেয়ে ফরিদা আক্তার ২০১৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ট্রেনচালক হিসেবে যোগ দেন। ছোটবেলা থেকেই চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্বামী টুটুল ও চার সন্তান নিয়ে লালমনিরহাট রেল স্টেশনের সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করছেন ফরিদা।
তিনি বলেন, এই কাজটি আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। পরিবার ও সহকর্মীদের সমর্থন ছাড়া এই পেশায় টিকে থাকা কঠিন। একজন নারী ট্রেনচালক হিসেবে কে কী বলল, সেসব নিয়ে ভাবি না।
পেশাদারিত্ব ও আত্মনির্ভরশীলতা
নারী ট্রেনচালক হিসেবে ফরিদাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। তবে তিনি কখনো পিছপা হননি। ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি হলে নিজেই তা সমাধান করার সাহস দেখান। তার এই পেশাদারিত্ব ও আত্মবিশ্বাস রেল কর্তৃপক্ষকে মুগ্ধ করেছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় লোকো ইনচার্জ কাজী সুমন বলেন, নারীরা এখন আর ঘরে আবদ্ধ নেই। তারা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফরিদার মতো নারীরা প্রমাণ করছেন, কোনো পেশাই নারীদের জন্য অসম্ভব নয়।
নারীর এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা
ফরিদা আক্তার শুধু একজন ট্রেনচালক নন, তিনি নারী শক্তির এক উজ্জ্বল প্রতীক। দায়িত্ববোধ, আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে নারীরা যে কোনো পেশায় সফল হতে পারেন।
ফরিদার গল্প অনুপ্রেরণা জোগাবে আগামীর নারীদের, যারা চ্যালেঞ্জকে জয় করে নিজের পরিচয় তৈরি করতে চায়।
তথ্যসূত্র: ইউএনবি নিউজ