অনলাইন ডেক্স: দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করা প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
লটারির ফলাফল জানার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd/) অথবা আবেদনকৃত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে।
লটারি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ
আজকের লটারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের আবেদন ও আসনের পরিসংখ্যান
এবার সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫ হাজার ৬২৫টি স্কুলে মোট আসন রয়েছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি। ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী মোট ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৮টি পছন্দ দিয়ে আবেদন করেছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে মতিঝিল সরকারি বয়েজ স্কুলে (৮ হাজার ৬৯১টি), এরপর রয়েছে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল (৭ হাজার ৩১৩টি) এবং ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল (৫ হাজার ৭৯৪টি)।
বেসরকারি স্কুলগুলোতে মোট আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। তবে আবেদন এসেছে মাত্র ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এই স্কুলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে (২১ হাজার ৭০৭টি), এরপর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (২১ হাজার ১৭৬টি) এবং মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল শাখা) (২০ হাজার ৩৬৮টি)।
ফলাফল জানার উপায়
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, আবেদনকৃত মোবাইল নম্বরে লটারির ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে। একইসঙ্গে অভিভাবকরা ওয়েবসাইটে লগইন করে ফলাফল দেখতে এবং প্রিন্ট করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের ফলাফল ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ইমেইলে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাউশি জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
লটারি পেছানোর কারণ
এর আগে লটারি ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও টেলিটকের অনুরোধ এবং প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে তারা কোন বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এবং নতুন শিক্ষাবর্ষের যাত্রা শুরু করবে।