অনলাইন ডেক্স: সিলেট সীমান্তে সম্প্রতি একাধিক ঘটনার পর কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতীয় সশস্ত্র খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় এবং জাফলং থেকে ১৩ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি জানায়, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
কঠোর অভিযানে সাফল্য
সিলেট সীমান্তে ৪৮ বিজিবির অধীনে গত ছয় মাসে ৪২ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় আটক করা হয়েছে, যা বিগত ১০ বছরে মাত্র ২৩ জন ছিল। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিজিবি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে, চিনি চোরাচালান কমে এসেছে এবং ৫ মাসে প্রায় সোয়া শ’ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।
সীমান্তে সংঘর্ষ ও হত্যা
গত সপ্তাহে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে দুই বাংলাদেশি নিহত হন। নিহতদের একজন সবুজ মিয়ার লাশ ভারতের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিজিবি জানায়, সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
১৩ বাংলাদেশিকে আটক
ডিসেম্বরের ২৩ তারিখে জাফলং সীমান্ত থেকে ১৩ জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে তারা ডাউকি থানায় সোপর্দ করা হয়। বিজিবির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতরা সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় নাগরিক আটক
রোববার রাতে সংগ্রামপুঞ্জি এলাকায় অনুপ্রবেশের সময় ডাব্বর লাং নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বিজিবি। তার কাছ থেকে আমদানির নিষিদ্ধ অ্যাডানক পাউডার উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিকে গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবির কড়া বার্তা
৪৮ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্ত সুরক্ষায় অভিযান ও গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে বিজিবি।