সরকারি চাকরিকে হাতিয়ার বানিয়ে বিআরটিএ’র মনির হোসেনের অবৈধ সম্পদের পাহাড়, অফিসের চেয়ার টেবিল ব্যবহার করছে দালাল জিকু!

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর ১৩ (বিআরটিএ)মেট্রো সার্কেল–১ কর্মরত উচ্চমান সহকারী মনির হোসেন সরকারী চাকুরী-কে হাতিয়ার বানিয়ে শুরু থেকে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে দুর্নীতির কর্মকাণ্ডের অভিযোগ হলও তা তদন্ত করা হয়নি।তার স্থায়ী ঠিকানা নারায়নগঞ্জ জেলার,আড়াই হাজার উপজেলার,দয়াকান্দা গ্রামে বাসিন্দা।

জানা গেছে, সেই অভিযোগগুলো অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। তার নিকটবর্তী সহকারীপরিচালক মো. শামসুল কবির ও সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম অধীনে কাজ করেন মনির হোসেন। তাদেরকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন মাসের পর মাস দুর্নীতি ও অপকর্ম করে অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মালিকানা বদলির সেকশনে দীর্ঘদিন চাকুরি করার কারণে দালালদের মাধ্যমে প্রতিদিন মোটা অংকের অর্থ গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন উচ্চমান সহকারী মনির হোসেন। অফিসে টেবিলে বসে দালাল জিকু ফাইলে দিদারসে কাজ করেন।সেই জিকু আবার মনির হোসেন এর নির্দেশে ১৫-২০ জন দালালদের নিয়ন্ত্রণে রেখে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুকৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কাজ করছেন।

গ্রাহক আমজাদ হোসেনের অভিযোগে জানা যায় , অর্থ দিলে সব কাজ মিলে যায় তাৎক্ষণিক আবার অর্থ না দিলে ফাইল গায়েব হয়ে যায়। মনির হোসেন নামকাস্তে অফিসের চেয়ারে বসেন। কিন্তু কাজ করাচ্ছেন দালাল জিকুর নেতৃত্বে অন্য দালালদের মাধ্যমে। দালালদের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দুই সহকারী পরিচালক এসব অপকর্ম দেখেও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে কাজ করার আরও সুযোগ করে দেন। সেই সুবাদে উচ্চমান সহকারী মনির হোসেন একের পর এক দুর্নীতি ও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসনিক লোকজন কয়েক দফায় মনির হোসেনকে হাতেনাতে ধরলেও পরে তাদেরকে ম্যানেজ করে খালাস পেয়ে যান মনির হোসেন। অদ্যবতিতে মনির হোসেনের অবকর্ম ও দুর্নীতির থেমে নেই । গ্রাহকদের আরো অভিযোগ দেশ পরিবর্তন হলো এসব দুর্নীতিবাজ এখনো পরিবর্তন হয়নি। সরজমিনে মিরপুর ১৩ নাম্বার বিআরটিএ ঘুরে এইসব চিত্রে পাওয়া যায়। দালাল জিকু কথায় কথায় বলে ফেলেন ঈদের সামনে এখন তো কিছু কাজ উল্টাপাল্টা হবেই। আমরা যে কয়জন কাজ করি তা মনির হোসেন স্যারের আন্ডারে । আমরা কোন বেতন পাই না সারাদিন যা কাজ করি তার থেকে একটি অংশ ভাগ পাই। এভাবে আমরা মাসের পর মাস ,বছরের পর বছর কাজ করে আসছি। মনির স্যারের কাছে জানতে পারি দুই সহকারি পরিচালককে ম্যানেজ করে এইসব অনিয়ম কাজগুলো করে থাকেন ।

জিকু কথার ছলে আরও জানায়, মনির হোসেন স্যারের স্ত্রীর নামে অনেক সম্পদ করেছেন। নিজের নামে আছে এবং অন্যদের নামও করেছেন বিভিন্ন স্থানে সম্পদ। মনির হোসেনের পিতার মো. মিয়া হোসেন এবং তার স্ত্রীর নাম জেসমিন হোসেন,বর্তমান তারা রাজধানীর কাফরুল থানার ১৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় থাকেন।তার টিআইএন নং- ১৪৮৯৫৭৫৩৯৯৩৮, কর সার্কেল-৭৬, কর অঞ্চল- ৪। তিনি ঘুষ এবং অবৈধ ভাবে(বিআরটিএ)কর্মকান্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।ঘুষ বাণিজ্যে ও দালাল নিয়োগ করে অবৈধ ভাবে সারা বাংলাদেশে(বিআরটিএ) অবৈধভাবে কাজ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা হয়েছেন তিনি।

বর্তমান (বিআরটিএ)১১৮ নং রুমে(দালাল) জিকু সহ আরো ১৫-২০ জন দালালদের দ্বারা সরকারি নথি অবৈধ ভাবে ঘুষের মাধ্যমে গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন করে।এ সময় মালিক-কে হাজির না করে গাড়ীর অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করে ঘুষের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মালিকানা পরিবতর্বন করে থাকেন তারা।এবং মনির হোসেনের রুমে ১০ হাজার গ্রাহকের নথি কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।সবকিছু গায়েব করে দিয়েছে। এবং তারা পূর্ণরায় মোটা অংকের অর্থ নিয়ে নতুন করে আবার কাগজপত্র করে দিচ্ছেন তিনি।এ যেন ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এভাবেই করেছেন, কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ।

এ সকল বিষয় বিস্তারিত আরও জানার জন্য দুই সহকারী পরিচালককে মোবাইলে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। এইজন্য তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এবং মনির হোসেনকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকের নাম শুনে কল কেটে দেন । তাকে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করে কল কেটে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *