চ্যানেল7বিডি ডেক্স: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশের চার্টার হিসেবে কাজ করবে। এই চার্টার হবে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি, যা থেকে সরার সুযোগ নেই।
আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চার সংস্কার কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এতে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই চার্টার নির্বাচনসহ দেশের সবকিছুর ভিত্তি হবে। এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বপ্ন ও দায়বদ্ধতার ভিত্তি স্থাপন করছি। এই চার্টারকে ঐকমতের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে এবং এটি আমাদের জাতীয় কমিটমেন্ট হিসেবে থেকে যাবে।“
তিনি উল্লেখ করেন, “আজকের আনুষ্ঠানিকতা কেবল একটি সভা নয়; এটি ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইতিহাসের প্রবাহ থেকে এই কমিশনগুলোর সৃষ্টি হয়েছে। একটি বিধ্বস্ত জাতি আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এবং এখান থেকেই নতুন ইতিহাসের সূচনা হয়েছে।“
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “সংস্কার কমিশনের সদস্যরা আমাদের স্বপ্নের কাঠামো তৈরির জন্য একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি একটি অধ্যায়ের শুরু মাত্র। এই প্রতিবেদনগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ আলোচনা ও মতৈক্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি কোনো চাপিয়ে দেওয়া ধারণা নয়; বরং ভেতর থেকে উদ্ভূত একটি পরিকল্পনা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটি দলীয় কোনো উদ্যোগ নয়। আশা করা হচ্ছে, সব রাজনৈতিক দল এই চার্টারে স্বাক্ষর করবে। ভবিষ্যতের নির্বাচন এবং সরকার এই চার্টারের ওপর ভিত্তি করেই পরিচালিত হবে। এটি আমাদের জাতীয় স্বপ্ন ও দায়িত্বের প্রতিফলন।“
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এই চার্টার হবে একটি জাতীয় সনদ, যা আমাদের বাংলাদেশি ও বাঙালি পরিচয়ের ভিত্তি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব, যত বেশি পরিমাণে এই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব। এই চার্টারের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে ঐকমত্যের সরকার গঠিত হবে।“
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐকমত্য এবং একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা এমন একটি স্বপ্নের সংযোগ চাই যা বাস্তবায়িত হবে। এই চার্টার হবে আমাদের সেই স্বপ্নের দিশারি।“