সোহাগ রানা, গাজীপুর জেলে প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন এর গাজীপুর ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসায় শ্রেণিকক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্র কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নূপুর ও চুড়ি পরিয়ে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাঞ্জাবি পরিহিত এক কিশোর বোরকা পরিহিত এক কিশোরীর পা নিজের পায়ের ওপর রেখে তাকে নূপুর পরিয়ে দিচ্ছে। এরপর ওই কিশোরী বেঞ্চে বসা অবস্থায় কিশোর তাকে চুড়ি পরিয়ে দিচ্ছে। ঘটনাটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ঘটলেও কোনো শিক্ষক সেখানে ছিলেন না। পাশেই বসে থাকা একজন মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনাটি ধারণ করেন।
ভিডিওতে শোনা যায়, এক কিশোর বলছে, “ভিডিও করে মেয়েটির মাকে দেখাবে,’ উত্তরে মেয়েটি বলে, ‘দেখালে কি হবে?’ তার সামনে একটি গিফট বক্স ও ফুলের মালাও ছিলো।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী- অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিশা এবং দশম শ্রেণির ছাত্র হাসিব। ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র। তারা বলেন, এ ধরনের অশোভন ও শালীনতাবিরোধী আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেনে নেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মাদ্রাসার সুপার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। মাদ্রাসা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। খোলার পর শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না ভিডিওটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।