মোঃ সোহাগ রানা, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে এক স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত আবু কাওসারকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ উদ্ধারকৃত পিস্তলটিকে খেলনা পিস্তল দাবি করায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত কাওসারকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও দুটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আবু কাওসার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। মামলার এজাহারে তার সহযোগী হিসেবে এমদাদুল হক (৫০), নূরুল ইসলাম (৪০), আরাফাত হোসেন (২২), এশফাকুল (২২) ও রিফাত (১৯) নামের আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মনির হোসেন বলেন, “আমাদের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিল। ভয়ে আশপাশের লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে চলে গেল। পিস্তল দিয়ে ফায়ারের চেষ্টা করল। সেটি কী করে খেলনা পিস্তল হলো!” তার এই মন্তব্য পুলিশের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত কাওসারের বাড়িতে অভিযান চালায়। তাকে বাড়িতে পাওয়া না গেলেও সেখান থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও দুটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত কাওসার দাবি করেছেন যে তিনি কেবল ভয় দেখানোর জন্যই খেলনা পিস্তলটি তাক করেছিলেন। তিনি এটি অনলাইনে অর্ডার করে কিনেছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের হাজী প্রি ক্যাডেট স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পরপরই ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি দ্রুত আলোচনায় আসে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।