অনলাইন ডেক্স: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পাশাপাশি ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের’ ব্যাংক হিসাব সম্পর্কিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (গতকাল) বিএফআইইউ থেকে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার অধীন সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী এ লেনদেন তলব করা হচ্ছে। চিঠিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তলবকৃত হিসাবের সঙ্গে সম্পর্কিত দলিলাদি যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি (গ্রাহক পরিচিতি) এবং লেনদেন বিবরণী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে, সেই অর্থ কোথায় খরচ হয়েছে, নগদ উত্তোলন হয়েছে কি না, এর বিস্তারিত তথ্যও সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন এই ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে নিবন্ধিত। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে অর্থ কোথা থেকে এসেছে এবং তা কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, যারা এই ট্রাস্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ জমা বা স্থানান্তরিত হয়েছে, সেসব হিসাব সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কোনো আর্থিক অনিয়ম বা অপরাধে জড়িত ছিলেন কি না, বা ট্রাস্টের অর্থ কোথা থেকে এসেছে এবং কী কাজে ব্যবহৃত হয়েছে, তা তদন্ত করতেই তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান, যা আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়।