শনিবার হামাস মুক্তি দিচ্ছে চার ইসরাইলি নারী সেনাকে

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলি হামলায় জিম্মি হওয়া এই নারী সেনারা দীর্ঘ ১৫ মাস পর মুক্তি পাচ্ছেন।

যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর শান্তি উদ্যোগের অংশ। এর অধীনে ফিলিস্তিনি বন্দিদের দ্বিতীয় দলকেও মুক্তি দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের তালিকা তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পেয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা এজেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা শুক্রবার টেলিগ্রামে ঘোষণা দেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে চার নারী সেনাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত নারী সেনারা কারা?
ইসরাইলি হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিপ্রাপ্ত নারীরা হলেন করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। এদের মধ্যে লিরি আলবাগের বয়স ১৯ বছর, বাকিদের বয়স ২০ বছর।

বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি
ইসরাইলি কারাগার বিভাগের তথ্যমতে, মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে, বাকিদের অধিকৃত পশ্চিম তীরে পাঠানো হবে।

মুক্তি প্রক্রিয়ার সময়
ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া স্থানীয় সময় দুপুরের (১০০০ GMT) আগে শুরু হতে পারে। তবে হামাস বা ইসরাইল কেউই নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।

যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা ও ট্রাম্পের ভূমিকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে এই চুক্তি কার্যকর হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর শপথ গ্রহণের কয়েকদিন আগে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় এর কৃতিত্ব তাঁর।

১৫ মাসের অপেক্ষা এবং যুদ্ধের পরিণতি
১৫ মাসের বন্দিদশার পর মুক্তি পাওয়ার খবরে ইসরাইলি পরিবারগুলো কিছুটা আশার আলো দেখছে। তবে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

জিম্মি নিমরোদ কোহেনের মা ভিকি কোহেন বলেন, “আমরা আশঙ্কায় আছি যে চুক্তি বাস্তবায়িত হবে না।”

গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ঘরে ফেরার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছে। তবে বাড়ি ফিরে অনেকেই কেবল ধ্বংসস্তূপ পেয়েছে।

বাস্তুচ্যুত এক নারী তেকরা কাসেম বলেন, “যদি আমরা ঘরে ফিরি, ধ্বংসস্তূপের কারণে তাঁবু রাখারও জায়গা নেই।

তথ্যসূত্র: বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com