রাশিয়া ও টোগো পরস্পরের ভূখণ্ডে দূতাবাস খুলবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমা প্রভাব হ্রাসের মধ্যে দিয়ে মস্কো আফ্রিকায় তাদের অবস্থান সম্প্রসারণ করলে রাশিয়া ও টোগো আগামী বছর পরস্পরের ভূখন্ডে দূতাবাস খুলবে। বুধবার দুই দেশের নেতারা এ তথ্য জানান।

ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বে বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়ে মস্কো আফ্রিকায় নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটি আফ্রিকা অঞ্চলে তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক অবস্থান বৃদ্ধি করছে। মস্কো থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

চলতি বছর দুই দেশ সামরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার পর টোগো ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রতি আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কো সফররত টোগোর নেতা ফাউরে গনাসিংবেকে বলেন, ‘এই বছর, আমরা ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। আশ্চর্যের বিষয় হল, সেই সময় জুড়ে আমরা কোনও দূতাবাস খুলিনি।’

পুতিন আরো বলেন, ‘তবে, আমরা অবশেষে এই বিষয়ে একমত হয়েছি যে, আগামী বছর, আমরা উভয় দেশে দূতাবাস খুলব।’

টোগো’র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি বজায় রাখার জন্য গনাসিংবে ক্রেমলিন প্রধানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শিক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আশা করি দূতাবাস খোলার মাধ্যমে, আমরা এই ক্ষেত্রে আরো ভালো করব।’

সাহেলিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলোর জিহাদি বিদ্রোহ পশ্চিম আফ্রিকার ছোট দেশটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বছর এ পর্যন্ত হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য নিহত হয়েছে।

গনাসিংবে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও রুয়ান্ডার সংকটসহ মহাদেশের বেশ ক’টি সংকটের মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করার চেষ্টা করছেন।

আগস্ট মাসে, রাশিয়া তিনটি সাহেলিয়ান রাষ্ট্র মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোঁর সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

এই তিন দেশের নেতৃত্বে রয়েছে জান্তারা। তারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রতি জানিয়েছে, মস্কোর সৈন্যরা ছয়টি আফ্রিকান দেশে উপস্থিত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com