চ্যানেল7বিডি ডেক্স: মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সহায়তা করার বিষয়ে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, রাখাইনে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে এবং এই সহায়তা কর্মসূচি সেখানে স্থিতিশীলতা আনতে ভূমিকা রাখতে পারে।
আসিয়ানের বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠক
মঙ্গলবার মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ান চেয়ারপারসনের বিশেষ দূত তান শ্রী ওথমান হাশিমের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়। এ লক্ষ্যে মিয়ানমার, আসিয়ান, জাতিসংঘ এবং দাতা দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি ব্যাপক ভিত্তিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন রোডম্যাপ তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের ভূমিকা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসিয়ানের কয়েকটি দেশ। তাই প্রত্যাবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আসিয়ানের আরও সক্রিয় ও সমন্বিত ভূমিকা রাখা উচিত।”
তিনি বিশেষ দূতকে তার নিয়োগ লাভের জন্য অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর অগ্রগতি হবে।
আসিয়ানের প্রতিশ্রুতি ও সমন্বিত প্রচেষ্টা
বিশেষ দূত তান শ্রী ওথমান হাশিম জানান, আসিয়ান এই সংকট সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তিনি মিয়ানমারে আসিয়ানের চলমান মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, সংকট এখন সীমা ছাড়িয়ে গেছে, যা দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ আসিয়ান দেশগুলোও এই সংকট দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।“
বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ সংকট নিরসনে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।
তথ্যসূত্র: বাসস