মুক্তাগাছায় শিশু ধর্ষণের মূল আসামি গ্রেপ্তার, বাড়িতে আগুন দিল জনতা

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঈদের দিন বেড়াতে গিয়ে ৯ বছরের এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার ২ এপ্রিল দুপুর ২টায় মূল আসামি মোঃ দুলাল মিয়াকে (২৮) স্থানীয় ল্যাংড়ার বাজার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে দুলাল মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতাকারী প্রতিবেশী মজিদ মিয়াকে (৪০) আটক করেছিল পুলিশ।

অভিযুক্ত দুলাল মিয়া নামা মহিষতারা গ্রামের মন্নেছ আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর ভাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় জনতা জানায়, ধর্ষণে অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় মজিদ মিয়াকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে। এসময় মজিদের বাড়ি ও তার ভাই আতিকের দোকানে ভাঙচুর করে। বুধবার সকালে দুলাল ও সহায়তাকারী মজিদের বাড়িঘর ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নামা মহিষতারা গ্রামের মোঃ দুলাল মিয়া মহিষতারা আহাম্মদিয়া এতিমখানার মাদরাসার নূরানি বিভাগের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঈদের দিনে বান্ধবীদের সঙ্গে বেড়াতে গেলে রাতে আর বাসায় ফেরেনি সে। পরেরদিন প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের বাড়িতে পাওয়া যায় তাকে। পরে বাড়ির নারী সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে দুলাল মিয়ার দ্বারা রাতভর ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানায়। ধর্ষণের শিকার এই শিশুকে প্রথমে মুক্তাগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় আরেক আসামি মজিদকে আটক করা হয়েছিল। আজ মূল অভিযুক্ত দুলালকে গ্রেপ্তা‌র করেছি। মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *