মিরপুর ডেভেলপমেন্ট কমিটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসাইন’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার : মিরপুর ডেভেলপমেন্ট কমিটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ১২/বি, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা-এর অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসাইন-এর আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক জানিয়েছেন, মিরপুর ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এম.ডি.সি) মডেল স্কুল এন্ড কলেজ একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসাইন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে ঘনিষ্ঠ থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন।

এছাড়াও অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ-১: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন কারোর জন্য বাসস্থান হতে পারে না। অথচ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসাইন কলেজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। এই বাসার জন্য আলাদা সিঁড়ি, কেচি গেট, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, এসি, ডেকোরেশন ইত্যাদি কাজের জন্য বিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত প্রায় ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা ব্যয় করেছেন। তিনি কলেজের একাডেমিক ভবনে বসবাস করেন এবং বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়াও নিয়ে থাকেন। নিজ বাসা কলেজের একাডেমিক ভবনে হওয়ায় তাকে বিদ্যালয়ে প্রায়ই পাওয়া যায় না; অফিস তালাবদ্ধ দেখা যায়। অফিসের কাজ ফেলে তিনি তার পরিবারের কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রায়ই তাকে ডেকে আনতে হয়। নিশ্চই এটা তার দায়িত্বে অবহেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ।

অভিযোগ-২: আনোয়ার হোসাইন তার ভাগ্নে সজিব হাসান (ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল) কে প্রথমে ‘কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর’ হিসেবে ৩য় শ্রেণির চাকুরি দেন। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর এর বেতন গ্রেড ১৬ এবং বেতন স্কেল ৯৮০০/-‘টাকা। অথচ আনোয়ার হোসেন তার ভাগ্নেকে বিধি বহির্ভূতভাবে ইচ্ছেমত ইনক্রিমেন্ট দিয়ে যোগদান হতেই ১২০০০ (বার হাজার) টাকা বেসিক বানিয়ে বেতন দেন যা শিক্ষানবীশ হিসেবে সম্পূর্ণ অবৈধ। পরবর্তীতে তিনি সজিব হাসানকে কলেজের ‘প্রদর্শক’ হিসেবে নিয়োগ দেন। সজিব হাসানকে তিনি এমপিও-তে ৩য় শ্রেণির ১৬ গ্রেডে বেতন দেন এবং কলেজের প্রদর্শক হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন প্রদান করছেন। তিনি তার ভাগ্নে সজিব হাসান-কে একই সাথে দুই পদে বেতন ভাতা প্রদান করেন যা চরম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সামিল।

অভিযোগ-৩: আনোয়ার হোসাইন বোর্ডের নির্দেশনা ভঙ্গ করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং এর নামে পরীক্ষার্থী প্রতি প্রায় ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা আলাদা রিসিটের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন ও এর রিসিট শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা রাখা হয় এবং তিনি কোচিং ফি এর সমুদয় টাকা আলাদা এ্যাকাউন্ট-এ জমা রাখেন। এভাবে তিনি প্রতি বছর প্রায় ১৫,০০,০০০-/ (পনের লক্ষ) টাকা নিয়ে থাকেন। তিনি কোন ক্লাস নেন না কিন্তু কোচিং ক্লাস রুটিনে সর্বোচ্চ ক্লাস রেখে এ টাকা তার ইচ্ছামত বন্টন ও আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগ-৪: বিদ্যালয় নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার হয় করা হয়। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত টাকার প্রায় ৫০% টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। তিনি ২০০০ (দুই হাজার) জন পরীক্ষার্থীর জন্য ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকা ব্যয় করেন এবং প্রায় ৬০,০০০ (ষাট হাজার) টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন। এতে হল প্রত্যবেক্ষকগণের প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় একই পরীক্ষায় আমার সন্তান হল প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করে পায় ১৮৫০ টাকা। এছাড়াও এখান থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা হেরফের করা হয়েছে যা সহকারি প্রধান শিক্ষকের নিকট রক্ষিত পরীক্ষা সংক্রান্ত রেজিস্টার দেখলে সত্যতা পাওয়া যাবে।

অভিযোগ-৫: কর্মরত শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল আটকে রেখে অধ্যক্ষ আবুল হোসেন এর কাছ থেকে চেক মারফত ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঘুষ নেন এবং রুমানা আক্তার এর কাছ থেকে প্রায় ৭২,০০০/- (বাহাত্তর হাজার) টাকা ঘুষ নেন। ঘুষ দেয়নি বলে জাহিদুল ইসলাম এর উচ্চতর স্কেল অদ্যাবধি দেন নাই। ফলে তিনি উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির জন্য হাই কোর্টে মামলা করেছেন। তার মামলা নম্বর ২৭৪৪/২০২৫। বর্তমানে তিনি মাহমুদুল হাসানকে উচ্চতর স্কেল প্রদানসহ বিভিন্ন প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছেন।

অভিযোগ-৬ঃ শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য: অধ্যক্ষ সাহেব শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে ১০/১০/২০২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। পরে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় ১৩/১১/২৪ তারিখের মিটিংয়ে এ নিয়োগ বাতিল করেন। পরবর্তী এডহক কমিটির সময় তিনি ও সভাপতি ১৩/০২/২০২৫ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মাধ্যমে পুন:নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫/০৪/২৫ তারিখে ৭ (সাত) জন শিক্ষক এবং ০৩/০৫/২৫ তারিখে ১ (এক) জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে আছে যে, ‘এডহক কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন না’। অথচ অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে নীতিবহির্ভূত ৮ (আট) জন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছেন। জনশ্রুতি আছে, অধ্যক্ষ ও সভাপতি এসব নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক থেকে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা থেকে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ঘুষ নিয়ে জেনে শুনেই বিধি বহির্ভূত এমন নিয়োগ দিয়েছেন। পূর্বেও তিনি জৈনক ধর্মীয় শিক্ষকের মেয়ে এবং পুত্র বধু প্রমুখকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা করে নিয়েছেন। তিনি বিনা কারণে কিংবা তুচ্ছ কারণে চাকুরিচ্যুত করেন এবং ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) থেকে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ঘুষ নিয়ে নতুন নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তিনি খ. আব্দুর রহিম, ফারজানা আফরোজ, শারমিন আক্তার লিজা, মাহমুদা আক্তার (বন্যা), মোঃ রেজাউল হক প্রমুখকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করে ও নতুন নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগ-৭ : এসএসসি নির্বাচনি পরীক্ষার পরেও ফেল করা শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে তিনি ২য়, ৩য়, ৪র্থ বার টেস্ট পরীক্ষার নেন। যাদের কাছ থেকে তিনি ৫০,০০০/- টাকা থেকে ৬০,০০০/-টাকা উৎকোচ হিসেব পান তাদের তিনি এ ব্যবস্থার মাধ্যমে ফরম ফিলাপের সুযোগ দেন।

অভিযোগ-৮: কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে ১ (এক) থেকে ৫ (পাঁচ) মিনিট বিলম্ব হলে তাদের বেতন কর্তন করা হয়। কিন্তু সহকারি শিক্ষক মোঃ খবির হোসেন ০১/০১/২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়ে আসেনি। তার বেতন কর্তন করে অধ্যক্ষ সাহেব উক্ত তারিখে সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম-কে দিয়ে জাল স্বাক্ষর করিয়ে উপস্থিত দেখান। মোঃ খবির হোসেনকে নির্ধারিত ছুটির আগেই ছুটি দেয়া হয়। তিনি কোন পরীক্ষার ডিউটিও করেন না।

অভিযোগ-৯: তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের বিভিন্ন ধরনের রসদ দিয়ে রাজি খুশি রেখে দোকান নির্মাণ, দোকান বরাদ্ধ, ক্যান্টিন ও হোটেল বরাদ্ধ, মীনা বাজার বরাদ্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি খরচ সংক্রান্ত উপ-কমিটি করেন না। নিজেই সব খরচের সিদ্ধান্ত নেন ও খরচ করেন। তিনি কোন এক দোকানের ভাড়া ১৫,০০০/- (পনেরো হাজার) টাকার পরিবর্তে ৩৫,০০০/- (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা দাবি করেছেন। তিনি টেন্ডার বাদে বিভিন্ন খরচের ভাউচার দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে ৩ থেকে ৫টি ফ্লাট ও কয়েকটি গাড়ির মালিক হয়েছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩,৯০,০০,০০০/- (তিন কোটি নব্বই লক্ষ) টাকা। সম্প্রতি ফেসবুকে ‘মীনা বাজার’ সংক্রান্ত টাকা আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগ-১০: বই ও সহায়ক বই পাঠ্য বাবদ আত্মসাৎ: পাবলিশার্স/প্রকাশনী থেকে গ্রহণ (সম্ভাব্য) ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা। শিক্ষক-কর্মচারির পিকনিক ও অন্যান্য বাবদ সম্ভাব্য ব্যয় ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা। তিনি ও তার গ্যাং প্রতি বছর প্রায় ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগ-১১: মোঃ আনোয়ার হোসাইনের অবৈধ কর্মকান্ডের বিরোধীতা করলে তিনি ও তার গ্যাং বিরোধিতাকারীকে সাসপেন্ড করেন, সাসপেন্ড করার ভয় দেখান, কার্য ঘন্টা বাড়িয়ে দেন, ক্লাস সংখ্যা বাড়িয়ে দেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির সংখ্যা ও খাতা দেখার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে চাপে রাখেন। এসব হয়রানিমূলক কাজের সহায়তার জন্য তার মনোনীত শিক্ষক মোঃ খবির হোসেন, জনাব আকলিমা খোন্দকার, আসমত কবির রুবি প্রমুখকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে লাগাতারভাবে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে আসেন যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত বিধি বিধান বিরোধী।

অভিযোগ-১২: খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত। তারপরও তিনি বিধি বিধানের তুয়াক্কা না করে মহিদুল ইসলাম, জাফর ইকবাল, পারভেজ মিয়া ও তার ভাগ্নের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে চাকুরিতে স্থায়ী করেছেন এবং তাদের নির্ধারিত বেতনের পরিবর্তে বেতন স্কেলে প্রদান করছেন। আর এসবের সাথে আর্থিক লেনদেন/ঘুষ জড়িত। জানা যায় তিনি অর্থ ছাড়া আয়া-বুয়াও নিয়োগ দেন না।

অভিযোগ-১৩: প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারকে ০৩/১১/২০১৭ তারিখে সাসপেন্ড করেন এবং ০১/০৯/২০২০ তারিখে তাকে রিজাইন দিতে বাধ্য করেন। তার পাওনাদি ছিল ২৭,০০,০০০/- টাকা কিন্তু তাকে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন আর বাকী টাকা বর্তমান অধ্যক্ষ ও তার গ্যাং লুটপাট করেছেন।

অভিযোগ-১৪: মোঃ আনোয়ার হোসাইন বিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রদত্ত অতিরিক্ত বই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ফেরত না দিয়ে কেজির দরে বাইরে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগ-১৫: তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে ঘনিষ্ঠ থেকে তাদের টাকা পয়সা ঘুষ দিয়ে ২০১৪ সালে সহকারি প্রধান শিক্ষক, ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক এবং ২০২২ সালে অধ্যক্ষ হয়েছেন। তিনি বেতন স্কেলের সাথে ইচ্ছেমত টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়ে মোটা অংকের বেতন নিয়ে থাকেন যা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি। তিনি সুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ করছেন।

অভিযোগ-১৬: তিনি পরীক্ষার খাতা দেখেন না অথচ প্রতি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ খাতার দেখার টাকা নেন এবং প্রশাসনিক ভাতা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করেন। এটার সাথে তার গ্যাং জড়িত। তারাও এ হতে বেশি টাকা নেন ও আর্থিকভাবে লাভবান হন।

অভিযোগ-১৭: পূর্বের কমিটির রেজুলেশন করা যে, সহকারি শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলে স্কেলের ৬০% দায়িত্ব ভাতা পাবেন। সরকারি গেজেট অনুসারে সহকারি প্রধান শিক্ষক হলে ২৪,০০০/- টাকার স্কেলে এবং প্রধান শিক্ষক হলে ২৭,০০০/-টাকার স্কেলে বেতন ভাতা পান। মোঃ আনোয়ার হোসাইন ও সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম সব সময়ই দায়িত্ব ভাতা প্রতি মাসে যথাক্রমে ১০,০০০/- ও ২০,০০০/-টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেছেন। এভাবে অধ্যক্ষ ২০,০০০×৫৩ মাস =১০,৬০,০০০/- (দশ লক্ষ ষাট হাজার) টাকা এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক ৫,৩০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক, বেতন রেজিস্টার ও বেতন বিল দ্রষ্টব্য।

অভিযোগ-১৮: জানা যায় যে, তিনি দাখিল ও আলীম পাস এবং অন্যান্য সনদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রয়কৃত ও ভুয়া। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা জানিয়েছে যে, ধর্মীয় শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষক ব্যতীত অন্য সহকারি শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তার সকল যোগ্যতা ও সনদ সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয় আবেদন করছি।

অভিযোগ-১৯: ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে খরচ করার নিয়ম থাকলেও মোঃ আনোয়ার হোসাইন ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা নেন। পরে সেই টাকার সম পরিমাণ ভাউচার দিয়ে তিনি সমন্বয় করেন।

অভিযোগ-২০: বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি নির্বাচনের খরচ করেছে ৩,২০,০০০/- (তিন লক্ষ বিশ হাজার)। আবু তালেব স্কুলের খরচ। নির্বাচনের বিলে তিনি অতিরিক্ত টাকা বাড়ায়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগ-২১: মোঃ আনোয়ার হোসাইন-অধ্যক্ষ, মাহমুদা খানম-সহকারি প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক মোঃ খবির হোসেন, এফ, কবির, আকলিমা খোন্দকার প্রমুখ আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এর সব জনসমাবেশে যোগ দিয়েছেন এবং তাদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানে ও প্রতিষ্ঠানের বাইরে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের রাতের ভোটে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসাইন আওয়ামীলীগ সমর্থিত সংগঠন ‘স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ’ পল্লবী থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসাইন এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবিষেয়ে কোন কথা বলবো না, এটা পুরোটাই কমিটির বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *