মনোহরদীতে, চরমান্দালীয়ায় ধর্ষণ মামলাকে ঘিরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন , দারোগার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

মোঃ তাজুল ইসলাম বাদল মনোহরদী নরসিংদী প্রতিনিধি। নরসিংদীর মনোহরদীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত, মনোহরদী থানার চরমান্দালিয়া এলাকার এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের ও একজন আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর ইসলাম আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, ধর্ষণের ফলে ভিকটিম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং অভিযুক্ত আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তারা জানান, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একজন নির্দোষ যুবককে ফাঁসানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

গত ২৩ মে চরমান্দালিয়া এলাকায় এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা দাবি করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুর ইসলাম অভিযুক্তের পরিবার থেকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন এবং আরও টাকা দাবি করছেন। তারা বলেন, ভিকটিমের সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং দারোগার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলায় একজন নির্দোষ যুবকের জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এবং এটি সমাজে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট করে।

মামলার অভিযুক্ত বিজয় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী এ মামলার জন্য সে পরীক্ষা দিতে পারেনি তার মা-বাবা জেল খেটেছে তারা বলেন বর্তমানে তারিখ অনুযায়ী ১২ মাস হয়েছে এখনো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়নি ব্যাপারটা রহস্যজনক। 

বাংলাদেশে ১২ মাসে বাচ্চা ডেলিভারি হয় না এমন ইতিহাস হয়নি তাই মনে হয় মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক

এ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর প্রতিবাদে বিষয়টি নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *