ভূমিদস্যু মোঃ আব্দুল বারী গং এর কবলে প্রিয় বালা ঘোষের পৈতৃক সম্পত্তি রংপুরে সংবাদ সম্মেলন,,,

জাকির হোসেন সুজনঃ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নে প্রিয় বালা ঘোষ নামে এক নারীর পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল এ বিষয়ে দুপুরে সুমি কমিউনিটি সেন্টার রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি ।

প্রিয় বালা ঘোষের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু ভূমিদস্যু আব্দুল বাড়ি গং ও তার সহযোগী মোঃ কোহিনুজ্জামান লিটন
চক্র তাদের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তারা স্থানীয় প্রশাসনসহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো প্রতিকার পাননি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রিয় বালা ঘোষ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। কিন্তু কিছু অসাধু লোক আমাদের জমি দখল করে নিতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এর ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।

পরিবারটি আরও অভিযোগ করে যে, ভূমিদস্যুরা তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে তাদের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

আমরা উপায় অন্তর না পেয়ে বিগত ২৬/৬/২০২৪ ইং তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা আদালত নীলফামারীতে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং ৩৪৯/২৪। আদাল ত গত ৩০/৬/২০২৪ ইং তারিখে নালিশি বিত্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ও সি পি এস জলঢাকা কে নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতের উক্তরুপ আদেশের পর তারা বিএনপির নামধারী মোঃ কোহিনুজ্জামান লিটনের সহযোগিতায় আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হন এবং ওই মোঃ লিটন আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন এবং তিনি আমাদের পূজা মন্ডপ ও স্থাপনা সরে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।

আমরা অসহায় উপায় অন্তর না পেয়ে গত ২৩-১০-২০২৪ ইং তারিখে ক্যাম্প কমান্ডার আর্মি ক্যাম্প নিলফামারী ও পুলিশ সুপার নীলফামারী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু ২৪-১০ ২০২৪ ইন তারিখে নামধারী বিএনপি মোঃ খয়নুজ্জামান লিটন এর নেতৃত্বে ভূমিদস্যু আব্দুল বারি গং কর্তৃক আমাদের পূজা মন্ডপ সহ প্রতিমা গুলি এবং দোকান ও ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে এবং টলি দিয়ে সেগুলো আমার মেয়ের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় এবং সেখানে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালত ২৭/১০ ২০২৪ ইং তারিখে গত ৩০/৬/২০২৪ ইং তারিখে স্থিতিস্থা বজায় রাখার আদেশ বহাল রাখা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি পিএস জলঢাকা কে আবারও নির্দেশ দেন।

কোহিনুজ্জামান লিটন সহ আব্দুল বারী গং বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তারা আমার সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাহাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের কারণে আমরা ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারছি না এবং রাস্তাঘাটে চলাচল করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি। এমতাবস্থায় আমারও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য বীনা রানী ঘোষ ,নরেশ চন্দ্র ঘোষ, পলাশচন্দ্র রায়, বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ, বাঁধন চন্দ্র সরকার, চন্দনা রানী ঘোষ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *