বিমানবন্দরেই দেখা হবে মা-ছেলের

অনলাইন ডেস্ক!! বহু প্রতীক্ষার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি যাত্রা করবেন। হিথ্রো বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশি সময় পর মা-ছেলের এই বহুল প্রতীক্ষিত পুনর্মিলন হবে।

লন্ডনে পৌঁছেই বেগম খালেদা জিয়াকে ঐতিহ্যবাহী লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ এবং কিডনির সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন।

বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন কাতারের চারজন চিকিৎসক এবং প্যারামেডিকস। এছাড়া ঢাকা থেকে তাঁর চিকিৎসা টিমের ছয়জন সদস্যও লন্ডন যাবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

সঙ্গে থাকবেন তাঁর ছোট পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান, উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের শীর্ষ নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন যে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন।

লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসার পর প্রয়োজনে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠলে বেগম জিয়া ওমরাহ পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর।

গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাঁর সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয় এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।