অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষা ও বিদেশি শিল্পী আমন্ত্রণ নিরুৎসাহিত করতেই সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটির উদ্যোগে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা কর্মশালায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশি শিল্পী আমন্ত্রণের বিরুদ্ধে অবস্থান
তারেক রহমান বলেন, “দেশের মাটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেই আগের সরকার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে শিল্পী আমন্ত্রণ জানাত। তারা একের পর এক বিদেশি কনসার্টে মন্ত্রীরা গেড়ে বসে দেখত। আমরা সেই ধারা বদলাতে চাই।“
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর একদিন টেলিভিশনে দেখেন, একজন পাকিস্তানি শিল্পী বাংলাদেশে এসে দাবি করেছেন তিনি আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করছেন। তবে পরে জানা যায়, সেই শিল্পী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) উপলক্ষে পারফর্ম করে সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন।
সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্টের পটভূমি
তারেক রহমান বলেন, “দেশের প্রতিটি জেলায় নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে, যা আমাদের রক্ষা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি পর্যটনের ক্ষেত্রেও স্থানীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরা উচিত। দিল্লি কিংবা ইসলামাবাদ—কোনো কিছুর প্রভাব না রেখে, আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতেই এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে এই কনসার্টে শুধু রক বা ব্যান্ড সংগীত রাখিনি। বরং আধুনিক গান, বাউল, ভাটিয়ালি, মরমীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগীত ধারাকে একত্রিত করেছি, যাতে এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রকৃত প্রতিফলন ঘটায়।”
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার আহ্বান
তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদেশি নির্ভরশীলতার অবসান ঘটাতে হবে। বাংলাদেশে আয়োজিত বড় বড় অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে মনোযোগী হতে হবে।
সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্টের মাধ্যমে দেশের শিল্পীদের নতুন করে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি জনগণের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তথ্যসূত্র: বাসস