অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি মনে করছে, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’-এর মতো ইস্যু তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থির করার একটি চক্রান্ত চলছে। দলটির দাবি, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে ‘অরাজকতা’ সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে মাইনাস করার পর এবার বিএনপিকেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি নেতাদের দাবি, ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি তোলা হয়েছিল, যা সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে পারত। এরই ধারাবাহিকতায় ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। বিএনপির শঙ্কা, ভবিষ্যতে ‘সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন’ ইস্যু তৈরি করে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করা হতে পারে।
বৈঠকে ছাত্র আন্দোলনের পেছনে কারা রয়েছে, কারা এসব কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিএনপির নেতাদের দাবি, দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষকতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে দলের ভেতরে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপি মনে করছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান অস্থিরতা পরিকল্পিত এবং এর পেছনে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র কাজ করছে।