জেলা প্রতিনিধি: বাড্ডা থানায় এক ব্যবসায়ী মোঃ আল আমিন (২৯) অভিযোগ করেছেন যে, তার পরিচিত মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৭০,০০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান একটি বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগের কথা বলে ব্যবসায়ী আল আমিনের কাছ থেকে অগ্রিম ৭০,০০০ টাকা নিয়ে তার প্রতারণা চালিয়ে যান এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিটার সংযোগ প্রদান না করে বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে জড়িয়ে তাকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেন।
এ বিষয়ে, আল আমিন জানান যে, তিনি বাড্ডার আব্দুল হামিদ রোড, সাতারকুলে একটি রিক্সার গ্যারেজ পরিচালনা করেন এবং মিটার প্রয়োজন হওয়ায় তিনি মিজানুর রহমানের মাধ্যমে মিটার সংগ্রহের জন্য আলোচনা করেন। মিজানুর রহমান তাকে জানায় যে, তিনি ৮০,০০০ টাকায় একটি বৈদ্যুতিক মিটার সরবরাহ করতে পারবেন এবং এর জন্য ৭০,০০০ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, আল আমিন সৎ বিশ্বাসে ৭০,০০০ টাকা প্রদান করেন। তবে, ১০ দিন পর মিজানুর রহমান সময় বাড়িয়ে আরও কিছু সময় চান এবং অবশেষে, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে খুঁজে পান যে, পূর্বের ছোট মিটারটি বাইপাস করা হয়েছিল। এর ফলে আল আমিনকে ১,৫২,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা পরিশোধ করতে গিয়ে আল আমিন মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে, তবে সেই দিনে মিজানুর রহমান ফোন রিসিভ না করে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এর ফলে আল আমিনের ব্যবসায়িক ক্ষতি হয় এবং তার ৭০,০০০ টাকার অগ্রিম ফেরত পাননি।
এ ঘটনায় আল আমিন তার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং শেষ পর্যন্ত বাড্ডা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেছেন যে, মিজানুর রহমান তার কাছ থেকে ৭০,০০০ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন এবং তার কারণে বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জানা গেছে অভিযোগ দায়েরের পর, বাড্ডা থানার পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করছে এসআই রুবেল ফরাজি। রুবেল ফরাজি বলেন আইন অনুযায়ী, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে যে প্রতারণা ও আর্থিক ক্ষতির কথা বলা হয়েছে তা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং এসআই রুবেল ফরাজি কে বলেছি যদি সত্যি ব্যবসায়ি আল আমিনের সাথে মিজানুর রহমান প্রতারণা করে থাকে তবে দ্রুত তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। তিনি আরো বলেন তার থানাধীন এলাকার মানুষের পাশে সব সময় কাজ করে যেতে চান।